শিরোনাম
◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২৯ আগস্ট, ২০১৮, ০৪:৫৬ সকাল
আপডেট : ২৯ আগস্ট, ২০১৮, ০৪:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্ব দরবারে আমাদের আরও অনেক বন্ধু আছে…

ড. তোফায়েল আহমেদ : গত বছর আগস্টে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা এবং মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক নির্বাসন শুরুর পর এ সমস্যা সমাধানে আমাদের এতদিনের পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র ভারতকে আমরা আমাদের পাশে পেলাম না। একই কথা চীনের বেলায়ও খাটে। নিজ নিজ দেশ ও বাণিজ্যের স্বার্থে উভয় রাষ্ট্রই মিয়ানমারের পাশে গিয়ে দাঁড়াল। ভারত ও চীনের এহেন আচরণে আমরা এতটুকুও আশ্চর্য হইনি বরং তাদের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করি এই কারণে যে, নিজ দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে রাষ্ট্র কর্তৃক যে কোনো পদক্ষেপই গ্রহণীয়, যদি আঞ্চলিক কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করা যায়।

আমরা ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে কবে যে রাষ্ট্র এবং জনগণের স্বার্থে নিবেদিত হতে পারব, সেদিনের জন্য হয়তো আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। যাই হোক আসল প্রসঙ্গে আসা যাক। গেল সপ্তাহে চীন সফরে গেলে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার কাউন্টারপার্টের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গটি তোলেন এবং এ ব্যাপারে চীনের সাহায্য কামনা করেন।

উত্তরে চীন মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের পরামর্শ দেয়। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভব নয় বলেই মনে হয়। এ সমস্যা সমাধান দ্বিপাক্ষিক ভিত্তিতে না হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবাইকে সম্পৃক্ত করেই সমাধানের পথ বের করতে হবে। মিয়ানমারের ওপর চীনের যে প্রভাব আছে, তাকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে চীনের মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে সমস্যা সমাধানের কোনো সুযোগ আদায় করতে এ যাত্রায় আমাদের পররাষ্ট্র দফতর ব্যর্থ হয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ সফর করে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। নিরাপদ, স্বতঃস্ফূর্ত ও মর্যাদার সঙ্গে রোহিঙ্গাদের তাদের বাস্তুভিটায় ফেরত পাঠানোর অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সফরের উদ্দেশ্য। ইতিমধ্যে তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করেছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার বিষয়ে তাদের সংকল্পের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। এখন শুধু ধৈর্যসহকারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতাকে আরও বেশি শাণিত করতে হবে। আশপাশের কেউ আমাদের পাশে থাকুক আর নাই থাকুক, বাংলাদেশ বর্তমানে অনেক আস্থাশীল। বিশ্ব দরবারে আমাদের আরও অনেক বন্ধু আছে, তাদের নিয়েই না হয় আমরা বাংলাদেশে আশ্রিত ১১ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানদের স্বতঃস্ফূর্ত, নিরাপদ ও যথাযথ মর্যাদায় প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সক্ষম হব বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

পরিচিতি: স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ/মতামত গ্রহণ: নৌশিন আহম্মেদ মনিরা/ সম্পাদনা: রেজাউল আহসান

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়