মে. জে (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার : রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে হলে আন্তর্জাতিক ভাবে ও জাতিসংঘের মাধ্যমে বিশেষ করে চীনের সাথে খুব নিবিড় কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো প্রয়োজন। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে ইচ্ছুক নয়। কয়েকজন রোহিঙ্গা শনাক্ত করা মিয়ানমারের তালবাহানার বহিঃপ্রকাশ।
যেভাবেই হোক চীনকে বোঝাতে হবে এই রোহিঙ্গাদের ফেরত না পাঠালে পরবর্তীতে চীনের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করবে। কারণ, এখানে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের উত্থান ঘটবে এবং সেটা চীন পর্যন্ত ধাওয়া করবে। সুতরাং চীনই হলো চাবিকাঠি। চীন যদি মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করে তাহলেই একটি সমাধাণের পথ বের হবে এবং মিয়ানমারকে নিতে বাধ্য করা হবে। কারণ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়তো খুবই সোচ্চার। মিয়ানমার আসলে এখানে তালবাহানা করছে। তারা আসলে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে চায় না। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারের সৎ ইচ্ছা ও আন্তরিকতা নাই। এটাই হলো এগুলোর প্রমাণ।
বাংলাদেশকে এখন দুই রকম করে ভাবতে হবে। প্রথমত, কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে চীনের সাথে। আর দ্বিতীয়ত, দীর্ঘদিন রোহিঙ্গারা থাকবে এটা ধরে নিয়ে কি ব্যবস্থা গ্রহণ গেলে যাতে আমাদের সামাজিক ও পরিবেশগত বিরূপ প্রভাব থেকে আমাদের দেশ ও জনগণ নিরাপদে থাকে সেজন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পরিচিতি:নিরাপত্তা বিশ্লেষক/ মতামত গ্রহণ: মুহাম্মদ নাঈম/ সম্পাদনা: মোহাম্মদ আব্দুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :