নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ফুটবল দর্শকদের চোখ এখন নীলফামারীতে। বুধবার দেশের উত্তরের শহরটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। উদ্দেশ্য ঘরের মাঠে হতে যাওয়া সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় বসবে সাফের আসর। দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ হিসেবে পরিচিত এই আসরকে ঘিরে ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চলছে এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
এনিয়ে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশে বসতে যাচ্ছে সাফ ফুটবলের আসর। ২০০৩ সালে সর্বপ্রথম সাফ ফুটবলের আয়োজক হয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব দেখায় স্বাগতিকরা। এরপর ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার সাফের স্বাগতিক হওয়ার মর্যাদা পায় বাংলাদেশ। সেবার সেমি ফাইনালে বিদায় নিতে হয়েছিল আমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দলকে।
২০০৯ আসরের পর বাংলাদেশ দল আর কখনো গ্রুপ পর্বের বাঁধা পেরুতে পারেনি। টানা তিন আসরে ব্যর্থ ছিল লাল-সবুজের দেশ। এই অঞ্চলে তাই পরাশক্তির মর্যাদাও আর নেই একবারের চ্যাম্পিয়ন ও দুই বারের রানার্সআপদের। এবার অবশ্য সেই মর্যাদা ফিরে পেতে মরিয়া জেমি ডের দল।
প্রীতি ম্যাচ খেলতে ও সাফে অংশ নিতে শ্রীলঙ্কা দল ইতিমধ্যে বাংলাদেশে। বাকী ৫ দেশ আসতে শুরু করবে ২ সেপ্টেম্বর থেকে। সেদিন ভুটান ও নেপাল ফুটবল দল বাংলাদেশে আসবে। ভারত ও মালদ্বীপ ঢাকায় পা রাখবে ৩ সেপ্টেম্বর। পাকিস্তান এখনো তারিখ নিশ্চিত করেনি।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ঢু দিলে এখন শুধু শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিই চোখে পড়ে। মাঠে নতুন ঘাস লাগানো হয়েছিল আগেই। যা কেটে মাঠ সাজানোর কাজ করছেন কর্মীরা। ফ্লাডলাইটের আলো নিয়ে অবশ্য আয়োজকদের কিছুটা দুশ্চিন্তা থাকছে। দুদিন আগে সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হেলাল যা নিয়ে শঙ্কাই প্রকাশ করেছিলেন। তবে বাকী ক’দিনে সব চাহিদাই পূরণ হবে বলে আশা দর্শকদের।
এদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাস্টমসে আটকা পড়ে থাকা সাফের বল ও টিকিট ইতিমধ্যে হাতে পেয়েছে বাফুফে। শনিবার থেকে দর্শকদের জন্য বিক্রি হবে সাফের টিকিট।
আপনার মতামত লিখুন :