শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ২৯ আগস্ট, ২০১৮, ০৩:০৮ রাত
আপডেট : ২৯ আগস্ট, ২০১৮, ০৩:০৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীরা

লিহান লিমা: যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধে ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের চামড়া শিল্প। বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি বাজার চীন থেকে অর্ডার কম আসায় কাঁচা চামড়ার দামে ধস নেমেছে। বাংলাদেশের চামড়া শিল্প ব্যবসার বার্ষিক চাহিদার ৬০ ভাগই আসে ঈদ-উল-আযহায়। তবে কাঁচা চামড়ার রক্ষণাবেক্ষণের অতিরিক্ত খরচের কারণে এখন কম দামেই তা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বিক্রেতারা। চামড়ার এই মূল্য হ্রাসে ক্ষুদ্ধ সাধারণ মানুষ। ঢাকার অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার তাজুল ইসলাম বলেন ‘মধ্যমানের ব্যবসায়ীদের কাছে ৪০০ টাকায় চামড়া বিক্রি করার চাইতে আমার এটিকে একটি গর্ত করে তা পুঁতে ফেলাই ভাল।’

অন্যদিকে ছোট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাইকার এবং ট্যানারি মালিকরা কাঁচা চামড়া মানসম্পন্ন দামে কিনতে চান না। পাইকাররা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক চামড়া বাজারে চাহিদা পূর্ববর্তী বছরগুলোর তুলনায় কমে গিয়েছে। কোরবানির সময়ে ব্যবসায়ীরা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চামড়া ক্রড করেন এবং পরে তা পাইকার ও ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করে দেন। এই মধ্যসত্ত্বব্যবসায়ীরা প্রায় ৮০-৯০ লাখ পশুর চামড়া ক্রয় করে থাকেন। তাজুল ইসলাম বলেন, ২০ বছর আগে তিনি ১৫ হাজার টাকায় কেনা গরুর চামড়া বিক্রি করেছেন ৬০০ টাকায়। আর এখন ৭২ হাজার টাকায় কেনা গরুর চামড়া বিক্রি করছেন ৪০০ টাকায়। যেখানে চামড়া ছাড়তে তাকে দিতে হয় ৩ হাজার ৫০০ টাকা।

এশিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাইকার এবং ট্যানারি মালিকদের তৈরি সিন্ডিকেট চামড়ার দাম নিয়ন্ত্রণ করায় গত কয়েকবছর ধরে মূল্য কমে গিয়েছে। বড় বড় ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা ক্ষতি এড়াতে চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেন। ইদের আগে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পাইকার এবং ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে বসে চামড়ার দাম প্রতি স্কয়ার ফুট ঢাকায় ৪৫-৫০ টাকা এবং গ্রামে ৩৫-৪০ টাকা নির্ধারণ করে দেন। যা বিশ্বে সর্বনিন্ম। অন্যদিকে কোরবানির সময় যদি পাইকার ও ট্যানাররা সঠিক সময়ে চামড়া না কেনেন তবে ছোট ব্যবসায়ীদের তা সংরক্ষণে অনেক টাকা খরচ পড়ে।

লালবাগ এলাকার রাশেদ জিতু বলেন, তিনি ঈদে ১ হাজার ২০০টি চামড়া সংগ্রহ করেছেন কিন্ত তার অর্ধেকও এখনো বিক্রি করতে পারেন নি। অর্থাৎ তাকে চামড়া সংরক্ষণে এখন বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হবে।  বাংলাদেশ ট্যানার এসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি সাখাওয়াতউল্লাহ বলেন, গত তিন মাসে চীন থেকে অর্ডার শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ তার প্রক্রিয়াজাত চামড়ার ৫০ ভাগ চীনে রপ্তানি করে। তিনি আরো বলেন, আমরা চীনে কাছে প্রক্রিয়াজাত চামড়া ১০০ টাকায় বিক্রি করি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হ্ওয়ার পর চীনা ক্রেতারা আমাদের ৮০ টাকার বেশি দিতে চান না।

বাংলাদেশের কাছ থেকে চীন প্রক্রিয়াজাত চামড়া ক্রয় করে চামড়াজাত পণ্য তৈরি করে এবং এই সব পণ্যের বৃহত্তম বাজার যুক্তরাষ্ট্র।
ট্যানার এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহিন আহমেদ বলেন, মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে চামড়াজাত পণ্যে নামার আরেক কারণ চামড়ার বিপরীত পণ্য আবিষ্কার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় বাংলাদেশের চামড়া রপ্তানি আয় ১২ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। উৎপাদকরা দেশের ট্যানিং শিল্প হাজারিবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তর করায় অভিযোগ আনছেন। আহমেদ বলেন, এর ফলে ২২৫টি ট্যানারি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট জাতীয় রপ্তানির ৩ হাজার ৬৭০ কোটি ডলারের মধ্যে চামড়া রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১৮০ কোটি ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই আয় ছিল ১২৩ কোটি ডলার। এশিয়া টাইমস।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়