শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২৯ আগস্ট, ২০১৮, ০২:২৭ রাত
আপডেট : ২৯ আগস্ট, ২০১৮, ০২:২৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোহিঙ্গার কারণে স্থানীয় জনপদে নানামুখী প্রভাব

শ.ম.গফুর,উখিয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধি : মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে মিয়ানমারের বাস্তচুত্য হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হলেও এক বছরে তৈরি হয়েছে নানামুখী সংকট। স্থানীয়দের অভিযোগ, ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের বিরূপ প্রভাব পড়েছে কক্সবাজারের জনগোষ্ঠী ও জনপদের ওপর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন, পাহাড় ও কৃষিজমি ধ্বংস হওয়ায় মারাত্মক হুমকিতে পড়েছে পরিবেশ। পাশাপাশি সংক্রামক ব্যাধি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তো রয়েছেই। অবশ্য, প্রশাসন, সমস্যা মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে।

গত বছরের আগস্টের শেষ সপ্তাহে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শুরু হয় রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর অমানবিক নির্যাতন। ফলে বানের পানির মতো বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। গত এক বছরে নতুন ৭ লাখসহ কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে এখন বসবাস ১১ লাখের বেশী রোহিঙ্গার। যার স্থানীয় জনগোষ্ঠীর দ্বিগুণ। আর এসব রোহিঙ্গার কারণে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে স্থানীয় জনগোষ্ঠী।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে পরিবেশ ও জনপদের ওপর। বন উজাড়, পাহাড় কাটা, পরিবেশ বিপর্যয় ও সংক্রমণ ব্যাধির পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলার অবনতিতে দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে উখিয়া ও টেকনাফ।বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আলী কবির বলেন, ‘শুধু বন উজাড় নয়, শিকড় উপরে ফেলা হয়েছে। এতে পরিবেশের ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’

সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম বলেন, ‘ডিপথেরিয়া, এইডস, হাম এরকম অনেক রোগের বাহক পাওয়া গেছে রোহিঙ্গায়। স্থানীয়রা মিশলেও হবে।’অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘ছিনতাই, ডাকাতি এছাড়া খুনের সঙ্গেও জড়িয়েছে রোহিঙ্গারা।এ অবস্থায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তার পাশাপাশি পরিবেশ ও জনপদের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য নানা ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানালেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।প্রশাসনের দেয়া তথ্য মতে, রোহিঙ্গাদের কারণে গত এক বছরে প্রায় ৬ হাজার একর বনভূমি ধ্বংসের পাশাপাশি বেদখল হয়েছে স্থানীয়দের ১শ একরের বেশি কৃষি জমি। এছাড়া এইডস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২১৫ জন ও ডিপথেরিয়া আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৮ হাজার রোহিঙ্গা। বিভিন্ন অপরাধে ২৩৭ টি মামলায় সাজা হয়েছে ৬০৭ জন রোহিঙ্গার।রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের নাগাদ কোন ইতিবাচক খবর নেই।স্থানীয়দের দাবী অনতিবিলম্ভে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়