শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ২৯ আগস্ট, ২০১৮, ০২:২৩ রাত
আপডেট : ২৯ আগস্ট, ২০১৮, ০২:২৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারের সেনাপ্রধানকে ফেসবুকের নিষিদ্ধের নেপথ্যে

লিহান লিমা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং সহ কয়েকজন উচ্চপদস্থকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘ মিন অং হ্লাইং সহ ৬ জেনারেলের বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত এবং তাদের আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই ঘোষণা দেয় ফেসবুক।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা এবং গণহত্যা চালানোর অভিযোগে জাতিসংঘ এদের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং অভিযোগ গঠনের আহ্বান জানানোর পর তাদের অ্যাকাউন্ট বাতিল করে ফেসবুক। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রথমবারের মত ফেসবুক কোন দেশের সেনাবাহিনী প্রধান বা রাজনৈতিক নেতার প্রোফাইল মুছে ফেলল। ফেসবুক ১৮টি অ্যাকাউন্ট, ১ টি ইনস্ট্রাগ্রাম অ্যাকাউন্ট এবং ৫২টি ফেসবুক পেজ মুছে ফেলে। এদের ফলোয়ার ছিল প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ব্যক্তি। মিয়ানমারের ১ কোটি ৮০ লাখই ফেসবুক ব্যবহার করে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের বেশিরভাগ ব্যবহারকারীরর কাছে ‘ফেসবুকই ইন্টারনেট’ কিন্তু এটি ‘ঘৃণাত্মক প্রচারণাকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে’।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ৭ সাত লাখ রোহিঙ্গা সহ দেশটিতে অবস্থানরত রোহিঙ্গা এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ২০১৭ সালে ১ হাজারেরও বেশি পোস্ট, মন্তব্য এবং ছবি ছড়ানো হয়েছে। তাদের ‘কুকুর, ম্যাগট এবং ধর্ষক’ বলে মন্তব্য করা ছাড়াও তাদের শূকরের দুধ খাওয়ানোর মত বিদ্বেষী মন্তব্য করা হয়। বার্মিজ ফেসবুকে পেজে সব মুসলিমকে হত্যা করার মত প্রচারণাও চালানো হয়।

বিবিসি জানায়, মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের ২টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ছিল। একটির ফলোয়ার ছিল ১৩ লাখ এবং অন্যটির ২৮ লাখ। ফেসবুক পোস্টে তিনি রোহিঙ্গাদের ‘বাঙ্গালি’ বলা ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য ছড়াতেন। ফেসবুক জানায়, তার অ্যাকাউন্ট ছাড়াও নিষিদ্ধ অন্যান্য পেজ ‘জাতিগত এবং ধর্মীয় উত্তেজনা’ ছড়াতো।

২০১৪ সাল থেকেই মিয়ানমারে ফেসবুককে ব্যবহার করে ঘৃণাত্মক প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠে এসেছে। মার্চে জাতিসংঘের কর্মকর্তা বলেন, দেশটিতে ফেসবুক একটি দৈত্যে পরিণত হয়েছে এবং সামাজিক মাধ্যমটি ঘৃণাত্মক প্রচারণা বন্ধে কোন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এর প্রেক্ষিতে ফেসবুক ঘৃণাত্মক প্রচারণা চিহ্নিতকরণে তাদের প্রযুক্তিগত ধীরতা স্বীকার করে জানায়, তারা বিষয়টি উন্নত করছে কাজ করছে। ফেসবুক আরো জানায়, বিশ্বের যে কোন দেশের চাইতে মিয়ানমারের ব্যবহারীকরা তথ্যের জন্য ফেসবুকের ওপর নির্ভর করে থাকেন। বিবিসি, রয়টার্স।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়