নূর মাজিদ: ভারতের চলতি বছরের বাজেটে নগদ অর্থের ঘাটতি জিডিপি’র ২.৮ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াতে পারে বলে অভিমত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানী তেলের শক্তিশালী ও স্থির মূল্য, অন্যদিকে নিজেদের রপ্তানি বৃদ্ধির ধীরগতি উভয় কারণই এর পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ভারতের প্রভাবশালী আধা-সরকারি স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার(এসবিআই) প্রতিবেদনটি জানায়, ২০১৯ অর্থবছরে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ১৮ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে। যা ২০১৮ অর্থবছরের শুরুতে ছিলো ১৬ হাজার কোটি ডলার। তবে, সাম্প্রতিক সময় বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ। শুধুমাত্র চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসেই ১৮০ কোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি যোগ হচ্ছে দেশটির অর্থনীতিতে। একই সময় অপরিশোধিত জ্বালানী তেলের উচ্চ আমদানিমূল্য এবং শ্লথগতির রপ্তানি বৃদ্ধিতে হুমকির মুখে ভারতের বাণিজ্যিক ভারসাম্য। বিশেষত ভারতের অপরিশোধিত জ্বালানীর আমদানি চলতি বছর ৫৭.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে, শুধু জুলাই মাসেই ১২৪০ কোটি ডলারের জ্বালানী তেল আমদানি করেছে ভারত। যা ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ছিলো মাত্র ৭৮০ কোটি ডলার। এসবিআই প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আরো জানায়, জ্বালানী তেলের উচ্চমূল্যের পাশাপাশি জ্বালানী তেলের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধিও বাণিজ্য ঘাটতির নেপথ্যে ভূমিকা পালন করছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের শক্তিশালী মূল্য সম্পর্কে এসবিআই প্রতিবেদন জানায়, ২০১৭ সালের দামে অপরিশোধিত জ্বালানীর দাম স্থির থাকলে ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে ভারতের জ্বালানী তেল আমদানি বিল ৩১.৭ শতাংশ কম আসতো। এছাড়াও, ২০১৭ সালের মতো জ্বালানী চাহিদা থাকলে ভারতের বর্তমান আমদানি খরচ ৫.৫ শতাংশ কম হতো বলেও জানানো হয়।
ভারতের সঙ্গে একক দেশ হিসেবে সবচাইতে বেশী বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে চীনের। এসবিআই জানায়, চলতি বছরের মে ও জুন মাসে ভারতের চীনা পণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের অবমূল্যায়ন এই ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে এমন ধারণা অমূলক বলে অভিমত এসবিআই গবেষকদের। কমোডিটি অনলাইন
আপনার মতামত লিখুন :