কায়কোবাদ মিলন: রিজার্ভ আশংকাজনকভাবে কমে যাওয়ায় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান বর্ধিষ্ণু আমদানির রাশ টেনে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে। পাকিস্তানের সিন্দুকে বিদ্যমান রিজার্ভ দিয়ে এক মাসের আমদানি ব্যয়ও মেটানো সম্ভব নয়। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটি আজ অর্থনেতিক ক্ষেত্রে ভয়াবহ সংকটের সম্মুখিন।
রিজার্ভ বাড়াতে সোমবার পাকিস্তানি কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ কিছু আমদানিকৃত পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে সরকারের দৃষ্টিতে অতীব প্রয়োজনীয় নয় এমন পন্য আমদানির জন্য তহবিল গঠণ করা যাবেনা, তেমনি এলসিও খোলা যাবেনা।
করাচি চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেছেন, ব্যাংকের ওই তালিকা ত্রুটিপূর্ণ। কেননা এমন কিছু পণ্যের উপর হাত দেয়া হয়েছে যা আমদানি করা না গেলে কারখানার চাকা বন্ধ হয়ে যাবে। শিল্পের স্বার্থেই কাঁচামালের উপর ছাড় দিতে হবে।
পাক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, নিন্মমুখি রিজার্ভের উন্নয়নে আর কোন বিকল্প নেই এবং মনে রাখতে হবে ২০১৯ সালে ১২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার পাকিস্তানকে দেনা শোধের জন্য রাখতে হবে। ওই কর্মকর্তা বলেন, সামনে কি রকম দুর্দিন অপেক্ষমাণ সহজেই তা অনুমেয়। তিনি বলেন, চলতি বছর ধার দেনা বাবদ পাকিস্তানকে ৭,৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একশ ভাগ ক্যাশ মার্জিন ব্যবস্থা কোন কাজ না দিলে যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামোগত পণ্য আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হবে। ফলে চীন পাকিস্তান অর্থনেতিক করিডোর প্রকল্পের জিনিসপত্র আমদানি বিঘিœত হবে।
চীন পাকিস্তানকে তাদের রিজার্ভ রক্ষায় বড় অংকের ঋণ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রিজার্ভ বৃদ্ধির জন্য চীনকে পাকিস্তানের পুন: পুন: পীড়াপীড়ি চীনের জন্য বিষফোড়ায় পরিণত হয়েছে। পাকিস্তান চীনের কানের কাছে বার বার যে রেকর্ডখানা বাজাচ্ছে, তা হল আমাদের ঋণ দিয়ে যেতে থাক। অন্যথায় যৌথ করিডরের কাজ বিঘিœত হবে। এদিকে চীনের প্রত্যাশা পাকিস্তান যেন আইএমএফের কাছে বেইল আউটের জন্য না যায়। গেলে প্রস্তাবিত কিছু প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হতে পারে।
চীন অবশ্য পাকিস্তানকে তাদের কয়েকটি বানিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের মাধ্যমে লেনদেনের সুযোগ করে দিছে। তবে ডলারের পরিবর্তে চীনা মুদ্রায় লেনদেনে পাক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো স্বস্তিতে নেই। বিশেষ করে সুদের বিষয়টি নিয়ে পাক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অস্বস্তি কাটছেই না। এশিয়া টাইমস
আপনার মতামত লিখুন :