শিরোনাম
◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ২৯ আগস্ট, ২০১৮, ০১:৪১ রাত
আপডেট : ২৯ আগস্ট, ২০১৮, ০১:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুক্তি হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের

রফিক আহমেদ : পাবনার সাঁথিয়ায় নাগডেড়া ইউনিয়নের নাগডেমরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের কলেজ পড়ূয়া কন্যা মুক্তি খাতুনকে পেট্রোল ঢেলে শরীরে আগুণ ধরিয়ে নির্মমভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবি করেছে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার এক জরুরি সভায় নেতৃবৃন্দ মুক্তিযোদ্ধার কন্যার মৃত্যুতে এ শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

রাজধানীর শান্তিনগরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান শাহীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠি জরুরি সভায় বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য জোবায়দা হক অজন্তা, সাংবাদিক মিজান রহমান ও ওমর ফারুক সাগর, হারুন-অর রশিদ রনি, আব্দুল্লাহ-আল মামুন ও আল-আমিন মৃদুল, আহমাদ রাসেল, ও সাইফুল ইসলাম রতন প্রমুখ।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, যাদের বীরত্বে ও আত্মত্যাগে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি সেসব বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের এমন অমানবিক ও পৈশাচিক হত্যা কোনভাবেই সহ্য করা যায় না। নরপিচাশরা তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুণ ধরিয়ে দিয়ে উল্লাস করেছে, আর আমাদের বোন মুক্তি জীবন্ত দ্বগ্ধ হয়ে আর্তচিৎকার করেছে। আট দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে নরক যন্ত্রণা ভোগ করে গত সোমবার সে চির বিদায় নিয়েছে। যা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আরও একটি বার্তা দিয়ে গেছে।
নেতৃবৃন্দ অভিলম্বে এই নারকীয় ঘটনায় জড়িতদের বিচার ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।

একটি উন্মুক্ত জলাশয় দখলকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের বাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ১৯ আগস্ট হামলা চালায়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য পুরুষ সদস্যরা বড়াল নদী পার হয়ে পালিয়ে যায়। পুরুষদের না পেয়ে হামলাকারীরা পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেলের মেয়ে মুক্তি খাতুনকে ঘর থেকে টেনে উঠানে নিয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা ওই মুক্তিযোদ্ধার একটি ঘরেও আগুন লাগিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় মুক্তির বাবা বাদী হয়ে ৩২ জনকে আসামি করে সাঁথিয়া থানায় মামলা করেছেন। কিন্তু পুলিশ এ পর্যন্ত মাত্র ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল আসামীরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। নেতৃবৃন্দ মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্যার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়