শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট, ২০১৮, ০৫:২৯ সকাল
আপডেট : ২৮ আগস্ট, ২০১৮, ০৫:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ওবায়দুল কাদের কী গ্রেনেড মামলার বিচারক? প্রশ্ন বিএনপি নেতা আলালের

শাহানুজ্জামান টিটু : ওবায়দুল কাদের সাহেব অনেকগুলো দায়িত্ব একত্রে পালন করছেন। তারমধ্যে সেতুমন্ত্রী, দলের সাধারণ সম্পাদক আবার একই সঙ্গে যদি ২১ আগস্টের মামলার যে আদালত, সেই আদালতের বিচারকও হয়ে থাকেন তাহলে ওনি জানেন কাকে কাকে ওনারা সাজা দেবেন। সেখান থেকে ওনারা সংকট খুঁজে বেড়ান।

মঙ্গলবার সকালে এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি নতুনভাবে সংকটে পড়বে, বিএনপিকে সংকটে ফেলার ব্যবস্থা তো ২০০৯ সাল থেকে শুরু হয়েছে। কারণ দেশকে যদি সংকটে ফেলা হয়। তাহলে স্বাভাবিকভাবে দেশের জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সংকটে পড়বে এটা শতসিদ্ধ। যাদের মধ্যে দেশ প্রেম নেই, ক্ষমতা প্রেম আছে তাদের জন্য দেশের সংকটে কিছু আসে যায় না।

আলাল বলেন, এ মামলাটায় আজকের যিনি পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল তিনি সিআইডি প্রধান থাকার সময় মামলার প্রথম চার্জশীট দেওয়া হয়েছিলো। সেখানে তারেক রহমান সাহেবের কোনো নাম ছিলো না। বেগম খালেদা জিয়ার তো প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে আবদুল কাহার আখন্দ যিনি একসময় আওয়ামী লীগের নমিনেশন চেয়েছিলেন। তাকে তার অবসরপ্রাপ্ত জীবন থেকে ধরে এনে সেই আওয়ামীপন্থীকে দিয়ে পুনরায় তদন্ত দেখিয়ে সেখানে তারেক রহমানের নাম অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সুতরাং সংকট যারা সৃষ্টি করেছেন অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে অনেক আগে থেকে। তারা সংকটের বিষয় জানবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এটা জানার কথা পুরোপুরিভাবে আদালতের বাইরে কারোর জানার কথা না। ওনারা জানেন এ কারণে যে, বিএনপি হচ্ছে ওনারদের আতঙ্কের প্রতিমূর্তি, গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি। আর ওনারা হচ্ছে ফ্যাসিবাদী পক্ষের শক্তি। ফ্যাসিবাদীরা সব সময় গণতান্ত্রিক শক্তিকে ভয় পায়। এই ভয়ের কারণে ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা এবং এই সত্য কথাগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাদের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে। যে বিএনপি সংকটে পড়বে।

আলাল বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে পাচঁ লাখ নেতাকর্মী মারা যাবে। এমন কী পাপ করেছেন যে পাঁচ লাখ নেতাকর্মী মারা যাওয়ার মত আতঙ্কে থাকেন। সেই পাপগুলোকে সংশোধন করলেই তো হয়। তাহলে বিএনপির সংকট নিয়ে চিন্তা করা লাগে না। সেই পাপগুলোকে এখনো সংশোধন করে যদি গণতন্ত্রের জন্য এগিয়ে যায় তাহলে আওয়ামী লীগের জন্য সংকট হবে না। নাহলে আওয়ামী লীগ পড়বে আরো অনেক অনেক বড় সংকটে। যে সংকট থেকে নিকট ভবিষ্যতে তাদের বেড়িয়ে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়