আশিক রহমান : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেছেন, কোরবানির চামড়ার মূল্য এত কম কেন হলো সরকার তদন্ত করে দেখতে পারে। ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকেরা সিন্ডিকেট তৈরি করে হাত গুটিয়ে ইচ্ছে করে বসে আছে কিনা অথবা ব্ল্যাকমেইল করছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে পারে। এবং সেটি অর্থনৈতিক অপরাধের মধ্যে পড়ে কিনা সেটাও দেখতে পারে সরকার। সরকারের একটা কমপটিশন কমিশন রয়েছে, কিন্তু তা তো ফাংশন করে না। এটা তো ওদের কাজ। এদের কোনো কাজটাজ আমরা দেখি না। কোনো মনোপলি বা সিন্ডিকেট করা যাবে না। এসব কারণেই কমপিটিশন কমিশন রয়েছে। এখন কমিশন যদি কাজ না করে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করেছে কিনা বুঝব কী করে আমরা।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, ব্যবসা যেখানে সেখানে ঝুঁকি থাকবেই। পণ্যে বা বস্তুর কখনো বাড়বে, কখনো কমবে। চামড়ার ক্ষেত্রেও সেটা হতে পারে। বলা হচ্ছে ব্যাংক টাকা দিচ্ছে না, ব্যাংকের ঋণ খেলাপিদের টাকা দিবে কেন ব্যাংক? ব্যাংক তো কয়েকশ কোটি টাকা দিয়েছে। চামড়ায় যদি এত লাভই হয় তাহলে সব চামড়া কিনে রাখে না কেন?
অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, যারা ঝুঁকি নিয়েছেন তা হয়তো তাদের পক্ষে আসেনি। আমাদের এখানে যে সিন্ডিকেট হয়, তা ভাঙার সিস্টেম তো আমি দেখিনি। সিন্ডিকেট আছে কি নেই তা তো সরকার কোনো তদন্ত করে দেখেছে? যারা ঋণ প্রাপ্য তাদের দিয়েছে ব্যাংকগুলো। ব্যাংকের কাজ তো ব্যবসা করা, ঋণ দেওয়ার ব্যবসা। যারা আগেই ঋণ খেলাপি তাদের ঋণ দিবে কেন? যারা প্রাপ্য তাদেরকে তো ঋণ দিয়েছে ব্যাংকগুলো।
আপনার মতামত লিখুন :