শিরোনাম
◈ তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা

প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট, ২০১৮, ০৪:৫৩ সকাল
আপডেট : ২৮ আগস্ট, ২০১৮, ০৪:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভাঙ্গারির বাস রাস্তায়!

ডেস্ক রিপোর্ট : দুর্ঘটনাকবলিত চ্যালেঞ্জার বাস১৯৯২ সালে নিলামে কেনা বাসটি কেজি দরে বিক্রি করার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি, সেটি রাস্তায় নামানো হয়েছে। গত ২৫ আগস্ট ওই বাসটি একটি লেগুনাকে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনায় ১৫জন নিহত হন। নাটোরের লালপুরের কদিমচিলান এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

চ্যালেঞ্জার পরিবহনের এই বাসটি বিআরটিসি থেকে নিলামে কেনা। এর মালিক বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সদস্য মঞ্জু সরকার।

বগুড়ার পরিবহন ব্যবসায়ী আবদুল বাকী জানান, মঞ্জু সরকার ১৯৯২ সালের দিকে ঢাকা-মেট্রো-চ-৫৬৬৯ নম্বরের বাসটি বিআরটিসি থেকে নিলামে কেনেন। পরে নতুন করে বডি করার পর বগুড়া-পাবনা রুটে চালান। আবদুল বাকী দাবি করেন, বিআরটিসি থেকে নিলামে কেনা হলেও বাসের ফিটনেস ও অন্যান্য সবকিছু খুবই ভালো ছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিআরটিসির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেক ভালো গাড়ি অকেজো দেখিয়ে নিলামে বিক্রির ব্যবস্থা করেন। বিআরটিসি থেকে নিলামে কেনা এমন অন্তত ৫০টি গাড়ি বগুড়ায় চলাচল করে।’

বিআরটিসি বগুড়া ডিপোর ম্যানেজার (অপারেশন) মফিজ উদ্দিন জানান, নিলামে কেনা বাস চলাচলের সুযোগ নেই। পরিত্যক্ত ঘোষণার পরই নিলামে বিক্রি করা হয়। এসব গাড়ি কেজি দরে ভাঙ্গারি হিসেবে বিক্রির কথা, রাস্তায় চলাচলের জন্য নয়। তবে এ বাসটি বগুড়া নয়’ ঢাকা বা অন্য কোনও ডিপো থেকে নিলামে বিক্রি হয়ে থাকতে পারে। ’

বিআরটিএ’র এই কর্মতকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী বাসটি কেজি দরে ভাঙারি হিসেবে বিক্রির কথা থাকলেও সেটি দূরপাল্লার বগুড়া-পাবনা রুটে চলাচল করছিল। ফিটনেস সার্টিফিকেট ও অন্যন্য কাগজপত্র ম্যানেজ করা হলেও এর রুটপারমিট ছিল না। বাসের মালিক মঞ্জু সরকার পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি বাসটি দ্বিতীয় হাত থেকে কিনেছেন এবং সবকিছু ভালো ছিল।

জানা গেছে, বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সদস্য মঞ্জু সরকারের চ্যালেঞ্জার পরিবহন, আগমনী পরিবন, শাহ্ ফতেহ আলী পরিবহনসহ বিভিন্ন নামে ২০ থেকে ২২টি বাস আছে।

বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের নব-নির্বাচিত সভাপতি শাহ্ আকতারুজ্জামান ডিউক জানান, এ জেলায় অন্তত এক হাজার বাস আছে। শুধু ঢাকা রুটে চলাচলকারী ২০০ বাসের ঠিকমত রুট পারমিট আছে। তিনি দাবি করেন, পরিবহন মালিক মঞ্জু সরকারের ২০-২২টি বাস আছে। তার দুর্ঘটনা কবলিত বাসটির ফিটনেস ঠিক ছিল।

বিআরটিএ বগুড়ার সহকারি পরিচালক সৈয়দ মেজবা উদ্দিন জানান, মঞ্জু সরকারের মালিকানাধীন ওই বাসের রুট পারমিট ছাড়া আর সবকিছু ঠিক ছিল। ১৯৮৫ সালের মডেলের গাড়িটি তিনি ১৯৯২ সালে পুরাতন কিনেছেন। তবে এটি বিআরটিসির নিলাম করা বাস কিনা সে সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।

চ্যালেঞ্জার বাসের মালিক মঞ্জু সরকারহাইওয়ে পুলিশ বগুড়া অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি সড়ক-মহাসড়কে চলতে পারেনা। এরপরও চ্যালেঞ্জার পরিবহনের কাগজপত্র দেখে মন্তব্য করা যাবে।

দুর্ঘটনার পরপরই এ বাসের ফিটনেস ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। হাইওয়ে পুলিশ লালপুর থানায় চ্যালেঞ্জার পরিবহনের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। বগুড়া পুলিশ এ বাসের হেলপার আবদুস সামাদ কমলকে গ্রেফতার করে নাটোর ডিবি পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তবে এজাহারভুক্ত আসামি মালিক মঞ্জু সরকারকে থানায় আনলেও ৯ ঘণ্টা পর রবিবার রাতে তাকে ছেড়ে দেয়। অভিযোগ উঠে, ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রভাবশালী পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের তদবির এবং অর্থের বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

মঞ্জু সরকার ফোন কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বাংলাট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়