শাম্মী আক্তার : বর্তমান পার্লামেন্টটাই তো অবৈধ। রাষ্টপতি কি ভোট দিয়েছেন? প্রধানমন্ত্রী কি ভোট দিয়েছেন? তারা কেউ তো ভোট দেননি। জনগণের ভোটে তো তারা নির্বাচিত হননি। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে তারা পার্লামেন্ট ছিনতাই করেছে। ছিনতাইকৃত একটি পার্লামেন্টে তারা বিএনপির প্রতিনিধিত্ব আশা করেন কি করে! বিএনপি তো ছিনতাইকারির দল নয়। বিএনপি একটি মুক্তিযোদ্ধাদের দল। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা হলেন একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বীর উত্তম, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
বাংলাদেশে বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে এটি নিরসনের জন্য আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যদি কিছু সংযোজন করা প্রয়োজন হয়, তাহলে সেটি করা যেতে পারে। এমন তো নয় এটি বাইবেল, এখানে কিছু করা যাবে না। জনগণের প্রতি যদি তাদের সম্মান থাকে, নূন্যতম দায়িত্ববোধ থাকে তাহলে তাদের উচিৎ সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলাপ-আলোচনা করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যবস্থা করা। যেখানে জনগণ তাদের ভোটাধিকার নিবিঘেœ, নির্ভয়ে প্রয়োগ করতে পারবে।
আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। এখানে জনগণের মতামতের কোন প্রতিফলন ঘটেনি। বিএনপি জনগণের ভোটে বিশ্বাস করে। বিএনপি যে আন্দোলন করছে, এ আন্দোলন জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্যই করছে। আইন তো জনগণের জন্য। এটি তো এমন না যে এটিকে সংযোজন, বিয়োজন করা যাবে না। জনগণের চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে অনেক দেশে যুগে যুগে আইন তৈরি হয়েছে বা সংযোজন, বিয়োজন করা হয়েছে।
বর্তমানে আমাদের নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। উনার চিকিৎসাটাও ভালো করে করা হচ্ছে না। ২০০ বছরের পুরনো একটি কারাগারে যদি একজন কয়েদি থাকে তাহলে তার মানুষিক যন্ত্রণাটাও মারাত্মক হয়। এটি খুবই অমানবিক। এটি খুবই অন্যায়। আমরা উনার মুক্তির জন্য বারবার দাবি করেছি এবং চেষ্টাও করছি। আমাদের সামনে এখন একটি কাজ, দেশনেত্রীকে নির্জন কারাগার থেকে মুক্ত করা। আমরা বারবার বলেছি, দেশনেত্রীর মুক্তি ছাড়া আমরা আগামী নির্বাচনে যাবো না।
পরিচিতি: সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপি/মতামত গ্রহণ: ফাহিম আহমাদ বিজয়/সম্পাদনা: রেজাউল আহসান
আপনার মতামত লিখুন :