সাব্বির আহমেদ : রামপাল কয়লা-বিদ্যুত প্রকল্পের পুরোটা জুড়ে এক ধরনের দুরভিসন্ধি আছে। সরকার কোনো কিছুই তোয়াক্কা না করে সুন্দরবনের পাশে রামপালে বিদ্যুৎ প্রকল্প করতে যাচ্ছে। যা হলে আশপাশের পরিবেশ মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হবে। পরিবেশ ধবংস করে এমন উন্নয়ন শুভ কিছু বয়ে আনবে না।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সুন্দরবনের পাশে ক্ষতিকর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন বন্ধের দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের মতামতের কথা উল্লেখ করে সুন্দরবন জাতীয় রক্ষা কমিটির আহবায়ক এডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, এখন শুধু আমরা নই জাতিসংঘ বলছে বাঘের আবাসভূমি সুন্দরবন এখন বেপরোয়া শিল্পায়নে হুমকির মুখোমুখি। জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে বলেছে, সুন্দরবনের ওপর শিল্পায়নের হুমকি, সারাবিশ্বের পরিবেশের প্রতি হুমকির প্রতীকীরূপ। সত্যিকার টেকসই উন্নয়ন অর্জনে পরিবেশ সংরক্ষণ জরুরি বিষয়।
সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম জলীয় শ্বাসমূল উল্লেখ করে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ জন নক্স বনের মধ্যে শিল্পায়ন বন্ধের আহবান জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আমরা কখনোই উন্নয়নের পরিপন্থী নই। পরিবেশ উন্নয়নের বাইরে নয়। সরকার উন্নয়নের নামে কিছু শিল্প মালিকদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে দেশে নারী-নদী-বনভূমি চরমভাবে আক্রান্ত। সুন্দরবন এর অন্যতম। সরকার জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে প্রকল্পটি করতে যাচ্ছে।
বক্তরা অভিযোগ করেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে ১৩ টি গবেষণাপত্রের এখনও জবাব দেননি কতৃপক্ষ। এর মধ্যেই অস্পষ্টতা বুঝা যায়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং সুন্দরবন জাতীয় রক্ষা কমিটি যৌথ উদ্যোগে ওই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বাপার সহ-সভাপতি কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, বাপার সাধারণ সম্পাদক ও সুন্দরবন জাতীয় রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম ও বাপার যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামাল।
আপনার মতামত লিখুন :