মোস্তাফিজুর রহমান : চাকরির খোঁজে রাজধানীতে সৎ বোনের বাসায় এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী (২৫)। সৎ বোনের সহায়তায় ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার সকালে ওই তরুণীকে বিবস্ত্র অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়েছে ওই তরুণীর বলে জানা গেছে। তিনি এক ছেলে সন্তানের জননী।

ঢামেক ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়ক ডা. বিলকিস বেগম বলেন, ওই মেয়ে নিজেই তার নাম ঠিকানা জানিয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে হাকিম গাজী নামের এক ব্যক্তি তাকে ভর্তি করে পালিয়ে যায়। তিনি ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিসাধীন রয়েছে।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের এ এস আই মো. বাবুল মিয়া বলেন, ওই তরুণীর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে। চাকরির জন্য গ্রাম থেকে গুলিস্তানে সৎ বোনের বাসায় এসেছিলেন। সেখানে তার সৎ বোনের সহযোগিতায় চার-পাঁচজন রোববার রাতে তাকে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষকদের একজন সোমবার সকালে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় হাসপাতালে ফেলে যায়। মেয়েটির শরীরে ছিল গেঞ্জি ও চাদর।

শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী বলেন, মেয়েটির বাবা হাসেমের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি প্রায় ১৫ দিন আগে ঢাকায় আসেন তিনি। রোববার সৎ বোনের বাসায় যান । সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ওই মেয়েকে ঢামেক হাসপাতালে ফেলে যায়। কে তাকে ফেলে রেখে গেছে ওই তরুণী সেটি বলতে পারছে না। তিনি সুস্থ হলে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে। জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাছির উদ্দীনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে ওই তরুণীর।