শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট, ২০১৮, ০৭:৫৯ সকাল
আপডেট : ২৭ আগস্ট, ২০১৮, ০৭:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৮ মাসে ১৪ পুলিশ সদস্য ইয়াবাসহ আটক

মহসীন কবির : মাদকবিরোধী অভিযানে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার ‘মাদক ব্যবসায়ী’-কে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযানে গত ৮ মাসে ১৪ পুলিশ সদস্যকে আটক করার পর আরো পুলিশ সদস্যদের প্রতি নজর রাখা হয়েছে। এখনো অনেক পুলিশ সদস্য মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে এবং তাদেরকেও ছাড় দেওয়া হবে না বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছেন।

মিরসরাইয়ে র‌্যাবের হাতে ইয়াবাসহ আটক হন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো.আবুল বাশার (৪০)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) দায়িত্বরত ছিলেন। ১৭ আগস্ট তাকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে হাজারের বেশি ইয়াবা পাওয়া গেছে।

খুলনায় ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও কনস্টেবলকে আটক করা হয়। ১১ আগস্ট মহানগরের খালিশপুর থানার আইজ্যার মোড় থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন- খুলনা এপিবিএনে কর্মরত এএসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাগেরহাট সিআইডির কনস্টেবল সোহানুর রহমান, তাদের কাছ থেকে এক হাজার ৫০ পিস ইয়াবা ও ছয় বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

কক্সবাজারের টেকনাফে ৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ চকরিয়া থানার এক পুলিশ দম্পতিকে আটক করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ৮ আগস্ট ওই পুলিশ দম্পতি আটক হলেও বিষয়টি প্রথমে গোপনের চেষ্টা করে বিজিবি ও পুলিশ। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মামলা দিয়ে তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়। আটককৃতরা হলেন- বুড়িচং উপজেলার পীর যাত্রাপুর এলাকার মৃত আলী আজমের ছেলে এরশাদ আলম (৩০) এবং কক্সবাজার পিএমখালী ছনখোলা এলাকার আব্দুল হামিদের মেয়ে কামরুন নাহার। মো.এরশাদ আলম এর আগে টেকনাফ থানায় কর্মরত ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় মাদকদ্রব্য সেবনের সময় ফেন্সিডিল-ইয়াবাসহ এক পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করে বিজিবি। এ সময় তার কাছ থেকে ৪ বোতল ফেন্সিডিল ও ৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ১২ জুলাই দর্শনা পৌর এলাকার মিলপাড়ার জনৈক শিপুলুর বাড়ি থেকে পুলিশ কনস্টেবল ওমর ফারুককে (৪০) হাতে-নাতে আটক করে বিজিবির জওয়ানরা।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ আটক হন কনস্টেবল ফজলুল হক। ২১ জুন উপজেলার তামাই গ্রামে অভিযান চালিয়ে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

ময়মনসিংহে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আল আমিন নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। ৮ জুন শহরের আদালত পাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় কোর্ট ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান, এসআই সাইফুল ইসলাম ও এসআই মনির হোসেনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।

বগুড়ার সোনাতলায় ইয়াবাসহ সাময়িক বরখাস্তকৃত এক পুলিশ সদস্যকে ৪ জুন আটক করা হয়। আটককৃত শাহিন উপজেলার হুয়াকুয়া গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। এলাকাবাসী জানায়, শাহিন পুলিশ বাহিনীতে চাকরিকালীন স্ত্রীর একাধিক অভিযোগসহ নানা কারণে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। শাহিন বাড়িতে এসে মাদক ব্যবসা আবারো জোরদার করে তোলে। থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানান, শাহিন একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অভিযোগ রয়েছে।

রাজধানী ঢাকার খিলগাঁওয়ে ৪১ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের এএসআই মজনু মোল্লাকে আটক করা হয়েছে। ২৫ এপ্রিল তিলপাপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন অন্য পুলিশ সদস্যরা। একটি মাদকসংক্রান্ত অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয়ে মজনু পুলিশ লাইনে সংযুক্ত ছিলেন।

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে সাড়ে ৪শ' পিস ইয়াবাসহ আবু বক্কর সিদ্দিক (৬৫) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪। ২৪ এপ্রিল উপজেলার বারঘরিয়া থেকে তাকে আটক করে। র‌্যাব জানিয়েছে, আবু বক্কর সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছিলেন। তাকে আটকের পর সাড়ে ৪শ' পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আবু বক্কর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ১৯৯০ (সংশোধনী ২০০৪) সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

যশোরের চৌগাছায় ‘ইয়াবা থাকার’ কথা বলে এক ব্যবসায়ীকে আটকের সময় ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে এএসআই কামরুজ্জামানসহ দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ২৬ মার্চ এ ঘটনা ঘটে। কক্সবাজার উখিয়ায় ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক পুলিশ কনস্টেবল ও তার এক সহযোগিকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ২৪ মার্চ উখিয়া বাজারের হাজী জসিম মার্কেটের দ্বিতীয় তলার ইমন ভিডিও অ্যান্ড পুস্প বিতান থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক দু’জন হলেন- চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের মধ্যম মায়ানী গ্রামের বীরেন্দ্র বড়ুয়ার ছেলে ও উখিয়া থানার কনস্টেবল সৌরভ বড়ুয়া এবং উখিয়ার পিনজিরকুল গ্রামের হাজী শাহাজাহানের ছেলে ও ইমন ভিডিও অ্যান্ড পুষ্প বিতানের মালিক মো. ইমন (২৬)। এদের কাছ থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কাশিয়াডাঙ্গা থানার কার্যক্রম শুরু দিন ইয়াবা সেবনের সময় এক পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে এই থানার পুলিশ। নগরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠ থেকে অন্য তিন ইয়াবাসেবীর সঙ্গে নাজিম উদ্দিন (৩০) নামের এই পুলিশ কনস্টেবলকেও আটক করা হয়। নাজিম জেলা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রানীহাটি গ্রামে।

বরিশালে ৪০ পিস ইয়াবাসহ দুই পুলিশ সদস্যকে আটকের পর জেলে পাঠানো হয়েছে। ১০ জানুয়ারি এ ঘটনা ঘটে। বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শামীম আহম্মেদ তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বরিশালের লাকুটিয়া সড়কের আনোয়ার হোসেনের বাড়ির সামনে থেকে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরা হলেন- বরিশাল রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে কর্মরত কনস্টেবল পার্থ চন্দ্র দে ও বরিশাল রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে কর্মরত কনস্টেবল তানজিলুর রহমান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়