ওমর শাহ: বছর খানেক আগেই শীর্ষ সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিমের ছেলের মাওলানা হয়ে ওঠার খবর প্রকাশ্যে আসে। এবার জানা যায়, তাঁর সঙ্গী ছোটা শাকিলের ছেলেও আধ্যাত্মিক পথই বেছে নিয়েছে। পাকিস্তানের করাচিতে ছোটা শাকিলের একমাত্র ছেলে এখন হিফজুল কুরআনের শিক্ষক।
১৮ বছরের মুবাশ্বির শেখ ডি কোম্পানির অন্যতম সদস্য ছোটা শাকিলের তৃতীয় ও সব থেকে ছোট সন্তান। সেই ছেলে এখন হাফেজে কোরআন ও হিফজুর কুরআনের প্রশিক্ষক।
বৃদ্ধ বাবা বাবুমিয়া শাকিল আহমেদ শেখ ওরফে ছোটা শাকিলের সঙ্গে করাচিতেই থাকে মুবাশ্বির। সেখানেই কোরআনের পাঠ দেওয়া শুরু করেছে সে। আশেপাশে লোকজন তার কাছে আসে কোরআনের পাঠ নিতে।
একসময় মুম্বইতে এক ট্রাভেল এজেন্সি চালাত ছোটা শাকিল। ১৯৮০ থেকে মাফিয়া হিসেবে তার উত্থান শুরু হয়। ডি কোম্পানির বিশ্বস্ত সদস্য হয়ে ওঠে শাকিল। দাউদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে নিজের জায়গা তৈরি করে ফেলে আন্ডারওয়ার্ল্ডে। ১৯৮৮ তে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মাস চারেক জেলে থাকার পর জামিন পেয়ে সোজা চলে যায় দুবাইতে দাউদের আস্তানায়। সেখানে বসেই মুম্বাই হামলার পরিকল্পনা হয়। পরে দুবাই থেকে তাদের ঘাঁটি সরে যায় পাকিস্তানে।
বর্তমানে দাউদ এবং ছোটা শাকিল দু’জনেই যে পাকিস্তানে রয়েছে, সেকথা জানিয়েছে দাউদের ভাই ইকবাল ইব্রাহিম কস্কর, যাকে ১১ মাস আগে ভারতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনিই জানিয়েছিলেন যে, দাউদের একমাত্র ছেলে মাওলানা হয়ে গিয়েছে। সেই মাওলানার পথ ধরেই এবার শাকিলের ছেলে মুবাশ্বির।
দাউদের ছেলে মইনের মতই মাফিয়াদের জগতে অনীহা রয়েছে মুবাশ্বিরের। বাবার সঙ্গে বাস করলেও তার পথে যেতে ইচ্ছুক নয় মুবাশ্বির। ছোটা শাকিলের দুই মেয়ে জোয়া ও আনমের বিয়ে হয়েছে করাচিতে। দু’জনেরই স্বামী পেশায় চিকিৎসক। সূত্র: কলকাতা২৪*৭
আপনার মতামত লিখুন :