মুহাম্মদ নাঈম: অর্থনীতিবিদ ও এনবিআর-এর সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেছেন, চামড়াশিল্প দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিভাময় প্রতিষ্ঠান। দেখা গেছে ট্যানারি মালিকেরা ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছেন এবং ব্যাংকগুলো লোন দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তাই তারা ইচ্ছামত লোন নিয়ে ঋণ খেলাপি হচ্ছে এবং নানা রকমের তালবাহানা করে যাচ্ছে। ট্যানারি মালিকেরা ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছেন চামড়া কেনার জন্য কিন্তু তারা অন্য জায়গায় টাকা ব্যবহার করে থাকেন। এই ব্যাপারে কোন আইন না থাকার কারণে তারা যা ইচ্ছা তাই করছে। কোরবানির চামড়ার বাজার নিয়ে আলাপকালে আমাদের অর্থনীতিকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা চামড়া বিক্রি করেছেন এবং যারা কোরবানির পশু বিক্রি করেছেন তারা কেউ ন্যায্য দাম পাননি, শুধু অব্যবস্থাপনার কারণে। তারা ব্যাংকগুলোকে বোঝাচ্ছে তাদের ব্যবসা কম হচ্ছে। কিন্তু নিজেরা ব্যাংকগুলোকে দেখাচ্ছে চামড়ার চাহিদা নাই।
ড. মোহাম্মদ আব্দুল মাজিদ আরও বলেন, অর্ডার নাই, চাহিদা কম, বিদেশি দেশগুলোতে পরিবেশ ভালো না থাকার কারণে চামড়া কিনতে আসছে না এসব অভিযোগ এখন কেন? মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ন্যায্য বলে কিছু নেই এমনটি কিন্তু নয়। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে অব্যবস্থাপনার করণে ন্যায্যতা নষ্ট হয়। কোরবানির চামড়ার বাজারে উপরের পর্যায় থেকে নিচের পর্যায় পর্যন্ত মানুষ সিন্ডিকেটের শিকারে পরিণত হয়েছে। সব কিছুতেই ন্যায্য দাম থাকলে চামড়ার থাকবে না কেন? এরজন্য দায়ী অব্যবস্থাপনা এবং আমরা সবাই।
আপনার মতামত লিখুন :