শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট, ২০১৮, ১০:২৪ দুপুর
আপডেট : ২৭ আগস্ট, ২০১৮, ১০:২৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নতুন চমক রাজনীতিতে!

ডেস্ক রিপোর্ট : দেশের রাজনীতিতে আসছে নতুন চমক! মালয়েশিয়ায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনী বিজয়ী মাহাথির মোহাম্মদের জোটের মডেলে বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেনকে সামনে রেখে একটি বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এর অংশ হিসেবেই দেশের রাজনীতিতে বেশ কয়েক মাস ধরে আলোচিত যুক্তফ্রন্টে যুক্ত হচ্ছে না গণফোরাম। স্বতন্ত্র অবস্থানে থেকেই যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে দলটি।
বিএনপি বলয়ের বিভিন্ন শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও বিশিষ্ট নাগরিকরা এ জাতীয় ঐক্য গঠনে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছেন। তারা জানিয়েছেন, দেশ এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে বৃহত্তর এ জোটে থাকছে ডা. বি চৌধুরীর বিকল্প ধারা, আ স ম রবের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এবং মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য নিয়ে গঠিত যুক্তফ্রন্টও। এ ছাড়া বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মতো দলও এ জোটে ভিড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এ জাতীয় ঐক্য এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। কাগজে-কলমে এ জোটের চূড়ান্ত আকার পেতে সময় লাগবে আরও কিছুদিন। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার ড. কামালের বাসভবনে এ লক্ষ্যে জোটে আগ্রহী দলগুলোর নেতাদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সে বৈঠকের পর অনেকটা স্পষ্ট হওয়া যাবে জোটের গঠন ও তার রূপরেখা কী হতে পারে।

মূলত, বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্ষমতার বলয়ের বাইরে থাকা দেশের অন্যতম বৃহৎ দল বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় ঐক্যের কথা বলে এলেও কোন পদ্ধতিতে কিংবা কোন ফর্মুলা অনুসরণ করে জাতীয় ঐক্য রচিত হবে সে ব্যাপারে কোনো ধরনের সূত্র বাতলাতে পারছিল না। এ ছাড়া বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের শরিক, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর কারণে বিএনপির সঙ্গে কোনো ধরনের জোটে যেতে অনীহা দেখাচ্ছিল অনেক গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল। তাদের অনেকে বিএনপিকে জামায়াত ছেড়ে জাতীয় ঐক্য গড়ার পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু বিএনপি নানা বাস্তবতার কারণে জামায়াতকে ছেড়ে আসার পরিকল্পনা এখনোই করছে না। তবে জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে বিকল্প বা পৃথক জোটে যেতে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই। সে কারণেই ড. কামালের নেতৃত্বাধীন নতুন জোটে বিএনপির আগ্রহ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে জামায়াত আলাদাভাবে থাকবে ২০-দলীয় জোটে। নতুন ঐক্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবে বিএনপি এবং গণতন্ত্রমনস্ক অন্য রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সত্যিকার অর্থেই যদি এ রাজনৈতিক জোট গঠিত হয় তবে সেটা দেশের রাজনীতির জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ রাজনৈতিক ঐক্য বলেই বিবেচিত হবে।

ইতোমধ্যে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, বি. চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টে ড. কামালের গণফোরামের যুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও সে জোটে যাচ্ছেন না তারা। বরং নতুন বৃহৎ রাজনৈতিক ঐক্যের ব্যাপারে গণফোরামের আগ্রহ বেশি রয়েছে। সে জন্য আগামীকাল গণফোরামের সভাপতি ড. কামালের বাসভবনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনার জন্য বসছেন সংশ্লিষ্ট দলগুলোর নেতারা। এর আগে ঈদের আগে গত ১৯ আগস্ট বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের বাসায় যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরামের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে সভায় যুক্তফ্রন্ট নেতারা এবং গণফোরাম বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ার ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন। গণফোরামের বক্তব্য, যুক্তফ্রন্টে তারা থাকবে না কিন্তু যুক্তফ্রন্টে যারা আছে এবং যুক্তফ্রন্টের বাইরে গণফোরামসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও রাজনৈতিক সংগঠন মিলে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার কাজ করবে। গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী জানান মূলত, বিভিন্ন দল নিয়ে তারা একটি জাতীয় ঐক্য গড়তে চায়।

বিএনপি বলয়ের বিশিষ্ট নাগরিক ও বুদ্ধিজীবী এবং নতুন এ ঐক্য প্রক্রিয়ার অনুঘটকদের একজন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। সে নির্বাচন নিয়ে নানা সংশয় তৈরি হয়েছে। আমরা চাই, একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক। নির্বাচন যারাই করুক, নির্বাচনের আগে ও পরে সুশাসনের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। দেশে বর্তমানে যে নৈরাজ্য চলছে, গণতন্ত্রের ওপর একের পর এক আঘাত চলছে তা বন্ধ করতে হলে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। সে জন্যই দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বুদ্ধিজীবীরা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একটি জাতীয় ঐক্যের তাগিদ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার সংবিধানপ্রণেতা ড. কামালের বাসায় একটি সভার আহ্বান করা হয়েছে। বিএনপি, যুক্তফ্রন্টসহ আরও কয়েকটি গণতন্ত্রমনা প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের নেতারা সে সভায় উপস্থিত থাকতে পারে। আমরা আশা করছি, সে সভা থেকে একটি সুখবর পাব।

জামায়াতের ব্যাপারে তিনি বলেন, যারা ঐক্য করতে চায় তারা যেহেতু জামায়াতকে চায় না সেহেতু জামায়াতকে এ ঐক্য প্রত্রিয়ায় রাখার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। জামায়াত তার পূর্বতন জোট ২০ দলেই থাকবে। ২০-দলীয় জোটের ঐক্য অটুট রেখেই বিএনপি নতুন রাজনৈতিক জোটে শরিক হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ রাজনৈতিক ঐক্য প্রক্রিয়া মূলত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় ঐক্যেরই অংশ। জামায়াতের মতো দল বিএনপির সঙ্গে থাকবে কিন্তু বৃহত্তর জোটে আসবে না। বিএনপিও চাইছে না জামায়াতকে বৃহত্তর জোটে রাখার আবদার জানিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়াকে ভেস্তে দিতে।
অবশ্য বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছেন, প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ হোক যে কোনোভাবে জামায়াতকে বন্ধু হিসেবে রাখলে বিএনপির সঙ্গে কোনো ধরনের ঐক্যে যাবে না বিকল্প ধারা। সূত্র : খোলা কাগজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়