লিহান লিমা: রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচার এবং নির্যাতনের নিন্দা জানালেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা সংকটের বার্ষিকীতে পম্পেও বলেন, যারা এর জন্য দায়ী তাদের অবশ্যই কৈফিয়ত দিতে হবে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ধর-পাকড়ের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। টুইট বার্তায় পম্পেও বলেন, ‘একবছর আগে বার্মার রোহিঙ্গারা সেনাবাহিনীর মারাত্মক হামলার শিকার হয়, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ঘৃণাত্মক জাতিগত নিধনের জন্য দায়ী। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই এই ধরনের কার্যক্রমের কৈফিয়ত নেবে। সেনাবাহিনীকে অবশ্যই বার্মার গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার জন্য মানবাধিকারকে সম্মান জানাতে হবে।’
এই বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হাইতের মন্তব্য পাওয়া যায় নি। ১৯৬২ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রায় ৫০ বছর ধরে সামরিক বাহিনী মিয়ানমার শাসন করছে। ২০০৮ সালের সংবিধান অনুসারে তারা দেশটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশটির অং সান সু চীর নেতৃত্বাধীন সরকার রাখাইনে কোন ধরনের নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেছেন। শনিবার বাংলাদেশে কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পে লাখ লাখ রোহিঙ্গা সংঘর্ষের বার্ষিকী পালন করেন। এই সময় তারা ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা’ স্লোগান দেন এবং মার্চ করেন। মিয়ানমার সীমান্তে এই দিনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
একমাস আগে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমার ৪ জন সেনা কর্মকর্তা, পুলিশ কমান্ডার এবং দুই আর্মি ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সোমবার রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে এবং মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমার ইস্যুতে আলোচনায় বসবে। রয়টার্স।
আপনার মতামত লিখুন :