শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট, ২০১৮, ১০:৩৯ দুপুর
আপডেট : ২৬ আগস্ট, ২০১৮, ১০:৩৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিদ্যুৎ বিভাগের ১৪ প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদ ৬ হাজার

শাহীন চৌধুরী: সরকার সবার জন্য বিদ্যুৎ কর্মসূচি ঘোষণা করলেও এই বিভাগের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলছে ধীর গতিতে। আর এই ধীর গতিতে চলার মূল কারণ হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় লোকবল অত্যন্ত কম। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, এই বিভাগের ১৪টি প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার। যা এ বিভাগের গতি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তবায় হয়ে দাড়িয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের নতুন-নতুন কেন্দ্র উৎপাদনে আসায় একটি কেন্দ্রর প্রকৌশলীদের অন্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে একটি কেন্দ্রে যে ক’জন প্রকৌশলী থাকার কথা তার চার ভাগের একভাগও নেই। দক্ষ জনবলের অভাবও রয়েছে। জনবল ও দক্ষ জনবল সংকটের অভাবের বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত বিভাগের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা।

সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪ হাজার মেগাওয়াটের মতো। এখন তা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭৫৩ মেগাওয়াট। গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ২ কোটি ৯৯ লাখ। সরকার ২০১৯ সালের মধ্যে সব মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে চায়। মোট সঞ্চালন লাইন ১১ হাজার ১২২ কিলোমিটার। আর বিতরণ লাইনের পরিমাণ ৪ লাখ ৫৫ হাজার কিলোমিটার। উৎপাদন থেকে বিতরণ পর্যন্ত বিশাল এই কর্মকান্ড সামলাতে দক্ষ জনবলের কোনও বিকল্প নেই।

এই বিভাগের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, জুলাই পর্যন্ত পদ খালি আছে ৫ হাজার ৯৯৭টি। এর মধ্যে বৈদ্যুতিক উপদেষ্টার দফতরে পদের সংখ্যা ৪৫টি। নিয়োগ বাকি আছে ১৯টি। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মোট পদের সংখ্য ১৭ হাজার ৯৩৩টি। এরমধ্যে ১ হাজার ৮৫৪টি পদ শূন্য। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ১ হাজার ৬২১টির মধ্যে ৬২২টি, ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডেসকো) ১ হাজার ৬৮০টির মধ্যে ১৬৮টি, ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডিপিডিসি) ৫ হাজার ৭৩৪টির মধ্যে ৩১১টি, ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশের (ইজিসিবি) ৫৭৩টির মধ্যে ১৯১টি, রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিসিএল) ৩৬২টির মধ্যে ৫৯টি, নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (নওপাজেকো) ৭৮২টির মধ্যে ১৩২টি, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) ৯৮১টির মধ্যে ১৪০টি, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ২ হাজার ৬৯৮টির মধ্যে ৭০৬টি, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ৩ হাজার ৮৮৭টির মধ্যে ১ হাজার ৩২২টি, পাওয়ার জোনের ১২৯টির মধ্যে ২৩টি পদ শূন্য। সবমিলিয়ে শূন্য পদের সংখ্যা ৫ হাজার ৫৯৭টি। প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ বিভাগের ১৪ দফতরে অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৩৬ হাজার ৫৫১টি।

সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আমাদের বিদ্যুৎখাত দ্রুত সম্প্রসারণ হচ্ছে। কিন্তু যেভাবে আমরা উৎপাদন, সঞ্চালন এবং বিতরণের পরিমাণ বৃদ্ধি করছি সেই হারে দক্ষ জনবল পাওয়া যাচ্ছে না। বিদ্যুৎখাতে কাজ করতে গেলে কর্মীদের বিশেষ কারিগরি জ্ঞান থাকতে হয়। এ খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সরকার এজন্য কেরানীগঞ্জে একটি ট্রেনিং ইনিস্টিটিউট নির্মাণ করছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট, ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। এইসময়ের মধ্যে দক্ষ জনবল সৃষ্টি করতে হলে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুত কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টরা সুপারিশ করছেন।##

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়