সাজিয়া আক্তার : আগামী বছরের মার্চের মধ্যে দেশে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে মোবাইল ফোনের টাওয়ার ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। প্রথম বছর বিভাগীয় শহরে, দ্বিতীয় বছর জেলা শহরে। এরপর তৃতীয় বছর দেশের ৩০ শতাংশ উপজেলা, চতুর্থ বছর ৬০ শতাংশ উপজেলায় কাজ চলবে। আর পঞ্চম বছর সারা দেশে এ কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। মোবাইল অপারেটরদের এ সময়ের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে এ সেবার আওয়তায় আসতে হবে।
টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্সের জন্য মনোনীত চার প্রতিষ্ঠানকে এ মাসে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি যে নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে তাতে ৩০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শর্তগুলো পূরণ করে লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় ফি জমা দিতে বলা হয়েছে। এতে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি লাইসেন্স পেতে যাচ্ছে মনোনীত প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ বিষয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, শর্তগুলো পূরণ করলেই লাইসেন্স পেয়ে যাবে প্রতিষ্ঠানগুলো।
এই লাইসেন্সের নীতিমালা অনুসারে লাইসেন্স পেতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস থেকে রেজিস্ট্রেশন পেতে হবে। বাংলাদেশি অংশীদার ছাড়া এনআরবি অনাবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশি কম্পানি এই লাইসেন্স পাবে না। বিদেশি কম্পানি ৭০ শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারবে তবে তা করতে হবে বিদেশি মুদ্রায়। বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা লিজিং কম্পানি থেকে ওই বিদেশি কম্পানি কোনো ঋণ নিতে পারবে না। এনআরবির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণের কোনো সীমা থাকবে না। তবে বিদেশি কম্পানির মতোই বিদেশি মুদ্রায় বিনিয়োগ করতে হবে। কোনো মোবাইল ফোন অপারেটর বা বিডাব্লিউএ বা ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস অপারেটরের সঙ্গে অংশীদারি গ্রহণযোগ্য হবে না। এ ধরনের অংশীদারি থাকলে তা লাইসেন্স গ্রহণের আগেই পরিবর্তন করতে হবে।
ইডটকো বিডির কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাহুল চৌধুরী বলেন, এই মনোনয়ন আমাদের জন্য খুবই আনন্দের এবং আমরা দেশের ডিজিটাল উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার ব্যাপারে আশাবাদী। সুত্র : কালের কন্ঠ
আপনার মতামত লিখুন :