হ্যাপী আক্তার : দিনাজপুরের ফুলবাড়ী ট্রাজেডি দিবস আজ। প্রতিবাদে ১২ বছর আগে ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লাখনি না করার দাবিতে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে বহুজাতিক কোম্পানি এশিয়া এনার্জির ফুলবাড়ি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ জনতা। দাবি আদায় না হলে আবারও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তেল-গ্যাস কমিটির নেতারা।
২৬ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত জনতার আন্দোলন সংগ্রামে উত্তাল ছিল ফুলবাড়ী খনি এলাকা। গণআন্দোলনের মুখে তত্কালীন বিএনপি-জামায়াত ৪ দলীয় জোট সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ আগস্ট সন্ধ্যায় পার্বতীপুর উপজেলা অডিটরিয়ামে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আন্দোলনকারীদের সাথে সরকারের ছয় দফা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এসময় তৎকালীন পুলিশ ও বিডিআরের গুলিতে কলেজ ছাত্র তরিকুল, আমিন ও সালেকিন নামে তিন যুবক নিহত ও শতাধিক নারী-পুরুষ আহত হন। এ ঘটনায় পঙ্গুত্বের অসহনীয় যন্ত্রণায় দিন কাটছে অনেকের। আর নিহতের স্বজনেরা বইছে হারানোর বেদনা।
১ যুগ পার হয়ে গেলেও দাবি পুরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুসিয়ারি দিয়েছেন তেল-গ্যাস কমিটির নেতারা।
ফুলবাড়ি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ বন্দর ও খনিজ সম্পদ জাতীয় রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম জুয়েল বলেছেন, এশিয়া এনার্জি যার কোনো রেজিস্টেশন নেই, বাংলাদেশ সরকাররের সাথে কোনো চুক্তি নাই। তারা ফুলবাড়ির কয়লাখনি দেখিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে তারা লন্ডন মার্কেটে তারা সেয়ার মার্কেটে ব্যবসা করছে। এই যে মিথ্যাচার, তার বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া দরাকর। তা না করে আন্দোলনকারীদের ওপরে মিথ্যা মামলা করেছে।
ফুলবাড়ি পৌরসভার মেয়র মুরতুজা সরকার মানিক বলেছেন, আমাদের ফুলবাড়ি এলাকাবাসীর একটাই দাবি, এখানে কয়লাখনি চাই না। প্রয়োজনে কয়লাখনি বন্ধ করার জন্য আবারও জীবন দিয়ে হলেও আন্দোলন করে যাব।
২৬ আগস্ট ‘জাতীয় সম্পদ রক্ষা দিবস’ পালন করছে তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি এবং ফুলবাড়ীবাসী পালন করছে ‘ফুলবাড়ী শোক দিবস’ হিসেবে। সূত্র : সময় টেলিভিশন
আপনার মতামত লিখুন :