রীতা রায় মিতু : প্রতি ঈদে ড. মাহফুজুর রহমানের একক সঙ্গীতানুষ্ঠান দেখানো হয়। এই সঙ্গীতানুষ্ঠান নিয়ে প্রায় সকলেই হাসি-ঠাট্টা করে। আমি আজ পর্যন্ত কোথাও উনার গান সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করিনি। আজ যেটুকু মজা করেছি, তা ছিল গানের সাথে উনার নাচের সম্ভাবনার কথা শুনে। দুই একজন বন্ধু বলেছেন, উনারা ড. মাহফুজুর রহমানের গানের এই প্রচেষ্টাকে সম্মান করেন। উনার প্রচেষ্টাকে আমিও সম্মান করি। তবে প্রচেষ্টা পর্যায়ের চর্চা ঘরে করতে হয়। উনার নিজের টিভি চ্যানেল আছে বলে উনি প্রচেষ্টা চর্চা টিভিতে প্রচার করবেন, এটা তো ঠিক নয়। উনাকে দেখে আরও অনেকেই গান না শিখেই টিভিতে গান গাইতে চাইবে, তখন কি উনি তাদের সেই সুযোগ দিবেন? তাদেরকে যদি সমান সুযোগ না দেয়া হয়, সেটা হবে আনফেয়ার। আবার যদি সুযোগ দেয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে কেউ শিক্ষক রেখে চর্চা করে গান শিখতে চাইবেনা। নানা রকম অসদুপায় অবলম্বন করবে পর্দায় মুখ দেখানোর জন্য। কেউ আর মান্না দে হতে চাইবে না, এত সহজে গায়ক মাহফুজুর হতে পারলে!
তাছাড়াও আরেকটি কথা, উনার প্রচেষ্টা সঙ্গীতের দৃশ্যায়ন হয় বিদেশের বিভিন্ন দামী দামী রিসোর্টে, এতে প্রচুর খরচ হয়। এই টাকাগুলো দেশের সঙ্গীত শিক্ষার জন্য ব্যয় করতে পারতেন তিনি। আরও একটা কথা, চিত্রায়ন দেশে না করে বিদেশের লোকেশানে কেন হবে? দেশে কি সুন্দর জায়গার অভাব পড়েছে? না থাকলে উনি দেশে সুন্দর আউটডোর লোকেশান তৈরি করতে টাকা ব্যয় করতে পারেন। শেষ কথা, এত টাকা খরচ করে উনি ঠিক কী ধরণের গান করছেন! এই প্রৌঢ় বয়সে প্রেমে ব্যর্থ তরুণ প্রেমিকদের মত,” তোমাকে এইভাবে ভালোবাসি, ঐভাবে ভালোবাসি, এখন এভাবে কাঁদি, ওভাবে কাঁদি, কাজ কর্ম ফেলে তোমার কথা ভেবে হায় হুতাশ করি! এগুলো কোন গানের জাত হলো? গানের লিরিক, গানের সুর-ছন্দ কোনটাই তো সুখকর নয়।
গীতিকার, সুরকার, গায়ক সকলে মিলে এভাবে গানের প্রচেষ্টা না করে, ছায়ানটে গিয়ে ভাল শিক্ষকের কাছে দুই বছর গান শিখে এলেও তো হয়।
ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :