রাশিদ রিয়াজ: সৌদি আরবকে আইএমএফ সাবধান করে বলেছে অনাকাঙ্খিতভাবে তেলের দর পড়ে গেলে দেশটির অর্থনীতি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্যে সৌদি সরকারকে খরচের ব্যাপারে সতর্ক করে আইএমএফ বলছে, অনুৎপাদনশীল খাতে এমন খরচ করা ঠিক হবে না যাতে সৌদি বাজেট বরাদ্দে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আরব বিজনেস
এবছর তেলের দর কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার পর দ্বিতীয় প্রান্তিকে সৌদি সরকারের রাজস্ব ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে সৌদি সরকারের খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৪ শতাংশ। সৌদি সরকারের ব্যয়ের অর্ধেই খরচ হয় বেতন-ভাতা খাতে। আইএমএফ এও পরামর্শ দিয়েছে ক্রমান্বয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে লোকবল হ্রাসের। এজন্যে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে সৌদি আরবে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ১২.৮ শতাংশ। নারীদের মধ্যে এ হার ৩১ শতাংশ। আগামী ৫ বছরে অন্তত ৫ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে না পারলে কর্মসংস্থান পরিস্থিতির কোনো হেরফের হবে না। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আইএমএফ পরামর্শ দিয়েছে সৌদিতে বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির। সৌদি শ্রমবাজারে নারীদের ১ শতাংশ কর্মসংস্থানে যোগ করতে ২০২৩ সালের মধ্যে ১৪ লাখ মানুষের কাজ প্রয়োজন।
এক প্রতিবেদনে আইএমএফ ভতুর্কি প্রত্যাহার, কর বৃদ্ধি ও তেলের দাম বাড়ানোর জন্যে সৌদি সরকারের প্রশংসা করেছি। একই সঙ্গে আইএমএফ বলছে, তেলের দর যেন সৌদি সরকারের সংস্কারে কোনো ধীর গতি সৃষ্টি করতে না পারে। কারণ সৌদি সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে তাতে তেলের দর পড়ে গেলে দেশটির সামগ্রিক অর্থনীতি বিপর্যস্ত হতে পারে। এরই মধ্যে সৌদি সরকারের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আপনার মতামত লিখুন :