ডেস্ক রিপোর্ট: কোটি কোটি টাকা বকেয়া রেখে ও সিন্ডিকেটের কারণে চাঁদপুরে এবার চামড়া ব্যবসায়ীরা ট্যানারির মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
সেইসঙ্গে হুমকির মধ্যে ট্যানারির মালিকদের কাছে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না তারা। তবে সরকার ভারতে চামড়া বিক্রির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে ব্যবসায়ীদের এ সংকট কমে যাবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
চামড়া ব্যবসায়ী মো. সাখাওয়াত হোসেন মিলন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ঢাকার ট্যানারি মালিকরা চাঁদপুরের চামড়া ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা বকেয়া ফেলে রেখেছে। ট্যানারি মালিকরা ব্যাংক থেকে মোটা অংকের লোন নিচ্ছেন। কিন্তু বকেয়া পরিশোধ করছেন না। এবারও টাকা ছাড়া চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য করেছে আমাদের।
তিনি বলেন, আমাদের হুমকি দিয়ে ট্যানারি মালিকরা বলছেন চামড়া বিক্রি না করলে বকেয়া টাকা দেয়া হবে না। বিক্রি না করলে চামড়া নষ্ট হয়ে যাবে। এককথায় সিন্ডিকেটের কারণে আমরা ট্যানারি মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি। আমরা চামড়ার ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না। সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনতে চাইছেন না তারা। এজন্য চাঁদপুরে আমরা লবণ দিয়ে চামড়া মজুত করে রাখছি।
চামড়া ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান গাজী বলেন, গত বছর ঈদে দেয়া চামড়ার টাকা এখনো ট্যানারি মালিকরা পরিশোধ করেনি। আমরা ব্যাংক থেকে টাকা লোন নিয়ে চামড়া কিনলেও সেই লোন পরিশোধ করতে পারিনি। এতে আমাদের মাসে মাসে সুদ বাড়ছে। অথচ ট্যানারি মালিকদের কাছে আমরা কোটি কোটি টাকা পাওনা আছি। তা পরিশোধ করছে না তারা। এক্ষেত্রে সরকার যদি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে আগের মতো ভারতে চামড়া বিক্রির সুযোগ করে দেয় তাহলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে। সেই সঙ্গে ট্যানারি মালিকদের কাছে জিম্মি হওয়া লাগত না ব্যবসায়ীদের।
চামড়া ব্যবসায়ী আকবর আলী বলেন, বাজারে চামড়ার দাম কমেনি। কিন্তু সিন্ডিকেট করে ট্যানারি মালিকরা চামড়ার দাম কমিয়ে ফেলেছেন। আজ এজন্য আমাদের এ দুর্গতি। আমরা সাধারণ ব্যবসায়ী। এখন আমরা কী করব? আমরা নিরুপায়। বকেয়া টাকা পাওয়ার আশায় আশায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছি আমরা। একইসঙ্গে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে চামড়া শিল্প।
আপনার মতামত লিখুন :