ডেস্ক রিপোর্ট: আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থাকার পাশাপাশি সামজিক যোগযোগ মাধ্যমে সক্রিয় কর্মীরা আগামীতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃত্ব নির্বাচনের সময় অগ্রাধিকার পাবেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। শুক্রবার ফেসবুকে নিজের একাউন্ট থেকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এমনটি জানান।
গোলাম রাব্বানী তার স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘প্রতিটি ইউনিটে ছাত্রলীগের কমিটি করতে নেতৃত্ব নির্বাচনে 'অনলাইনে সক্রিয়তা'কে 'বিশেষ যোগ্যতা' বলে বিবেচনা করা হবে। সংগঠন ও সরকারের ইতিবাচক-উন্নয়নমূলক কাজ, অপশক্তির ছড়ানো গুজব প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখা অনলাইন যোদ্ধাদের শীর্ষ নেতৃত্বে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ; প্রতিটি নেতা-কর্মীকে হতে হবে ডায়নামিক, অলরাউন্ডার... রাজপথে ও অনলাইনে সমান সপ্রতিভ।’
সম্প্রতি সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব প্রতিরোধে ছাত্রলীগের একটা বড় অংশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি দাবি করেন, ‘সাম্প্রতিক তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, অনলাইনে গুজব-প্রপাগান্ডা প্রতিরোধে ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান হাতেগোনা কিছু নেতা-কর্মী ছাড়া অন্যদের ভূমিকা ও পারফরম্যান্স ছিলো নেহায়েত হতাশাব্যাঞ্জক।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিটের নেতা-কর্মীরা যদি একটা করেও গুজব বিরোধী যৌক্তিক পোস্ট দিতো, ওসব ফালতু গুজব-টুজব স্রেফ খড়কুটোর মতো উড়ে যাবার কথা ছিল!’
বিরোধীরা জাতীয় নির্বাচনের আগে আবারো গুজব ছড়াতে পারে দাবি করে তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন অত্যাসন্ন। বিএনপি-জামাত, ছাত্রদল-শিবির আর কিছু মেয়াদোত্তীর্ণ বাম রাজপথে দাঁড়ানোর সামর্থ্য হারিয়ে তাই আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ও সরকার বিরোধী গুজব ছড়িয়ে গণমানুষকে বিভ্রান্ত করতে অনলাইন বা ভার্চুয়াল জগতকে বেছে নিয়েছে। এই খাতে ইনভেস্টমেন্টও হচ্ছে প্রচুর। জাতীয় নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে যেনতেন একটা লেইম ইস্যু দাঁড় করিয়ে আবারও গুজবের বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিতে ওরা উদগ্রীব থাকবে।’ সূত্র: আলোকিত বাংলাদেশ
আপনার মতামত লিখুন :