শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট, ২০১৮, ১০:২৪ দুপুর
আপডেট : ২৪ আগস্ট, ২০১৮, ১০:২৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসলামে কুকুর পালনের বিধান

এসএম আরিফুল কাদের: ইসলাম মনে করে, এই পৃথিবীতে মানুষের পরেই প্রাণিজগতের স্থান। প্রাণিজগৎকে পৃথক জাতিসত্তার স্বীকৃতি দিয়ে কোরআন বলা হয়েছে : ‘পৃথিবীতে বিচরণশীল যত প্রাণী আছে আর যত পাখি দুই ডানা মেলে উড়ে বেড়ায়, তারা সবাই তোমাদের মতো একেক জাতি।’ (সুরা আনআম : ৩৮) সে হিসেবে বলা যায়, কুকুর আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে একটি সৃষ্টি। কিন্তু সেই কুকুর পালনে রয়েছে শরিয়তের কিছু বিধান। যা মুসলিম হিসেবে জেনে রাখা উচিত।

সৌখিনতা মানব সমাজের একটি সৃষ্ট স্বভাব। তবুও এ স্বভাব মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার আইনের বাহিরে হওয়া কাম্য নয়। কেননা, ইসলাম এমন একটি ধর্মের নাম যেখানে সকল বিধানের রয়েছে পুরোপুরি দিক নির্দেশনা। তা থেকে বিন্দুমাত্র কমানো কিংবা বাড়ানো উভয়ে মারাত্মক গোনাহের কাজ। সেজন্যই কুকুর পালনের সৌখিনতা হতে হবে কুরআন-সুন্নাহর মতানুযায়ী। তাই বলে শখ করে ঘরে কুকুর রাখা, মানুষের চেয়ে কুকুরের যত্ন বেশি নেওয়া, কুকুরের সঙ্গে মানবীয় সম্পর্ক স্থাপন করা ইসলামে নিষিদ্ধ।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শিকার করা বা গবাদি পশু পাহারা অথবা শস্যক্ষেত্র পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া কুকুর লালন-পালন করে। প্রতিদিন ওই ব্যক্তির আমল থেকে দুই কিরাত (এক কিরাত সমান ওহুদ পাহাড় সমপরিমান নেকি) পরিমাণ নেকি হ্রাস পেতে থাকে।’ (সহিহ মুসলিম : ১৫৭৫, সহিহ তিরমিযি : ১৪৮৭)

অন্যত্র বলা হয়েছে যে, ঘরে কুকুর রেখে লালন-পালন করা ইসলাম কঠোর নিষেধ করেছে। কেননা, কেবল শখ করে ঘরে কুকুর রাখা ইসলামি শরিয়ত সম্মত নয়। আর এ জন্যই হাদিস শরীফে এসেছে, ‘যে ঘরে কুকুর আছে, সে ঘরে রহমতের ফেরেশতারা প্রবেশ করেন না।’ (সহিহ বোখারি শরিফ : ৫৫২৫)

তবে এ প্রাণীটি নিয়ে ইসলামে একাধিক হাদিস বর্ণিত আছে। যা অধিকাংশ হাদীসেই কুকুর পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু উদ্দেশ্যে কুকুর পালনে বৈধতা দেয় ইসলাম, আর তা হলো: ১. শিকারের উদ্দেশ্যে। ২. ফসল হেফাজতের উদ্দেশ্যে। ৩. পাহারাদারির জন্য। ৪. ছাগল-ভেড়া ইত্যাদির হেফাজতের লক্ষ্যে। ৫. ঘরবাড়ি, দোকান ও অফিস পাহারার জন্য। ৬. অপরাধের উৎস সন্ধান ও অপরাধীকে চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে কুকুর লালন-পালন করা বৈধ। (ফতোয়াতে মাহমুদিয়া : ১৮/২৬৪, ফতোয়ায়ে আলমগিরি : ৪/২৪২)

বলা বাহুল্য, শিকার এবং পাহারার জন্য অথবা অপরাধী শনাক্ত করার জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় কুকুর পোষা বৈধ। (ইবনে উসাইমিন)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়