সাজিয়া আক্তার : এবছর বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য অর্থাৎ পুরো গ্রীষ্মকাল জুড়েই ছিল তুমুল বৃষ্টি। তখন স্বাভাবিকের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। তারপর আবার অস্বস্তিকর গরম। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এভাবেই বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের ঋতুবৈচিত্র্য। গ্রীষ্মের পরিবর্তে এখন প্রায় বছর জুড়েই থাকে দাবদাহ।
আর তাই প্রকৃতির নানা পরিবর্তন ও বৈরী আচরণকে আমলে নিয়ে আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংকেতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাসের মতো এখন থেকে কালবৈশাখী ঝড়, তাপ ও শৈত্যপ্রবাহসহ বজ্রপাতেরও পূর্বাভাস পাওয়া যাবে। সারা বছর একই পদ্ধতির পরিবর্তে দুর্যোগ সংকেত ঋতুভিত্তিক করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, যে ব্যক্তিকে আঘাত করবে বজ্রপাত, তাকে নিরাপদে সরে যেতে হবে, তার জন্য একটা আর্লি ওয়ার্নিং ব্যবস্থার উন্নয়ন দরকার। সে জানতে পারবে যে এক ঘণ্টা পর তার এলাকায় বজ্রপাত হবে। তাকে নিরাপদে সরে যেতে হবে। বজ্রপাত নির্ণায়ক যন্ত্র দেশের ৮টি স্থানে স্থাপন করেছি। নরওয়ে এবং বাংলাদেশের আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে কাজ করছে, এই আর্লি ওয়ার্নিং ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার জন্য।
গত কয়েক বছরে বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায়, বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে আমলে নিয়ে এ ব্যাপারে আগাম সংকেত দেয়াসহ নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দুর্যোগের ধরনেও ব্যাপক পরিবর্তন আসায় এসব সিদ্ধান্ত দুর্যোগ বিষয়ক য়ীআদেশাবলীতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব।
শিঘ্রই সিদ্ধান্তসমূহ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের সভায় অনুমোদন এবং আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এটি কার্যকর হবে। সুত্র : সময় টেলিভিশন
আপনার মতামত লিখুন :