শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট, ২০১৮, ০৮:৫২ সকাল
আপডেট : ২৪ আগস্ট, ২০১৮, ০৮:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শ্বশুরবাড়ি মধুর হাড়ি

ডেস্ক রিপোর্ট  : আমাদের দেশে শ্বশুরবাড়ির আপ্যায়নের সুখ্যাতি আছে। তারকাদের বেলাতেও কি বিষয়টি তেমনই? শ্বশুরবাড়িতে কেমন আপ্যায়ন মেলে তারকাদের? আর কোরবানির ঈদে তারকাদের শ্বশুরবাড়ির আপ্যায়নটিই বা কেমন হয়? এসব প্রশ্নর প্রশ্নের উত্তর জানালেন কয়েকজন তারকা।

তিশা: শ্বশুরবাড়ি মানে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বাবার বাসা ঢাকার নাখালপাড়া। তিশা ও ফারুকী থাকেন বনানী। বিয়ের পর প্রতিবছরই ঈদের সকালে বেলা ঘুম থেকে উঠে তিশা ছুটে যান প্রথমে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। তারপর শ্বশুরবাড়ি। সেখানেই সারাদিন কাটান। শ্বশুর-শাশুড়ি মারা গেছেন অনেকদিন আগেই। ফারুকীর পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে রান্না থেকে শুরু করে সকল কিছুতে হাত লাগান তিশা। সন্ধ্যার পরে ফের মায়ের বাসায় যান। সেখান থেকে এবার বের হয়ে আনিসুল হকসহ বেশ কয়েকজন কাছের মানুষের বাসায় গিয়েছেন।

মোশাররফ করিম: মোশাররফ করিমের নিজের ও শ্বশুরবাড়ি দুটোই বরিশাল। তিনি মজা করে বলেন,‘আমার ভাইয়ের বাড়িও বরিশাল। সেখানেও ঘুরতে যাই। আমার শ্বশুরবাড়ি বরিশাল হলেও এখন ঢাকতেই থাকেন। ঈদের দিন সকালে উঠে নামাজে যাই। কোরবানিতে গরু জবাই ও এর সঙ্গে থাকতে হয়। না হয় তো বাসায় এসে ঘুমাই সারাদিন। শ্বশুরবাড়ির আপ্যায়ন এখনো কম জোটে না।’

আরেফিন শুভ: তাঁর শ্বশুরবাড়ি কলকাতাতে। তাঁরা হিন্দু ধর্মাবলম্বী। তাই ঈদের মতো অনুষ্ঠানে শুভর বাসায় শ্বশুরবাড়ির মানুষ চলে আসেন। আর পূজার সময় সুযোগ হলে শুভ কলকাতাতে চলে যান। এতটা দূরে শ্বশুরবাড়ি হওয়াতে যাওয়া হয় ঠিকমতো? ‘ এখন আর কোন কিছু তো দূরে নেই। কলকাতা প্লেনে যেতে আর কত বা সময় লাগে। তার চেয়ে বরং বাংলাদেশের অনেক জায়গায় যেতে দেরি লাগে। সেখানে গেলে যেটা হয় শুধু গরুর মাংস খাওয়া হয় না। অন্যান্য সবই তো আছে। আমি ইসলাম ধর্মই পালন করি। স্ত্রী তার ধর্ম পালন করে। তাতে আমার কোনো সমস্যা হয় না। ওই যে কথা আছে না ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সে মতই আমরা চলছি।’

মাহিয়া মাহি: শ্বশুরবাড়ি সিলেটের কদমতলি। এবারের ঈদে মাহির দুই ছবি মুক্তি পেয়েছে। তবে মাহি প্রথম সামলাচ্ছেন শ্বশুরবাড়ি। তিনি বলেন,‘ এমনিতে আমাতে যতই জিন্স আর যে পোশাকই পড়তে দেখেন না কেন। শ্বশুরবাড়ি গেলে পুরোদস্তুর বউ। সেখানে শাড়ি পরে কাজ করি। বাড়ির বড় বউ হওয়ার সুবাদে সকল কিছু দেখভাল করতে হয়। কিছুদিন আগে আমার দেওরের বিয়ে হয়েছে। আমার আর একজন সঙ্গী হয়েছে। দুজনে মিলে বেশ ভালই সামলাচ্ছি শ্বশুরবাড়ি।’

ন্যান্সি: ময়মনসিংহ শ্বশুরবাড়িতেই বেশি সময় কাটে ন্যান্সির। এই ঈদেও তিনি সেখানে রয়েছেন। ‘কোরবানি ঈদ মানেই ত্যাগ। রোজার ঈদে যা আনন্দফূর্তি হয়। কোরবানিতে আমরা যতটা পারি মানুষের মধ্যে মাংস বা টাকা বিলি করতে চেষ্টা করি। সত্যি বলতে এগুলো নিয়েই সময় কেটে যায়। মিডিয়াতে আমার খুব বেশি বন্ধুও নেই। তবে অনেককেই ভালো লাগে, যাঁদের আপ্যায়ন করি। তারা তো ঢাকা থেকে ব্যস্ত সময়ে এখানে আসতে পারেন না। যদি আসেন আমি চেষ্টা করি যথাসম্ভব আপ্যায়ন করার। কিছুদিন আগে চিরকুটের সুমি আপা আসছিলেন ময়মনসিংহ। আমি একরকম থ্রেট দিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছি। নিজের হাতে রান্না করে আপ্যায়ন করেছি। আমার বাবা বাড়িতে আপন কেউ নেই। এখন আমার সবকিছুই শ্বশুরবাড়ি, বললেন ন্যান্সি। বাংলা ইনসাইডার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়