বিশ্বজিৎ দত্ত : ৩ হাজার গরু ও ৫০০ ছাগল কোরবানির মধ্য দিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শরণার্থী শিবিরে গতকাল বুধবার ঈদ পালন করলেন রোহিঙ্গারা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন জানান, আনন্দ ঘন পরিবেশইে ঈদ পালন হয়েছে। ঈদের আগেই জাতীসংঘের তরফ থেকে নিয়মিত বরাদ্দের বাইরে তেল, আটা, চিনি, চাউল এগুলো দেয়া হয়েছিল। আর ঈদের দিন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ব্যাক্তি ও সরকারি উদ্যোগে প্রায় ৩ হাজার গরু ও ৫০০ ছাগল কোরবানি দিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটা ক্যাম্পে টিএনওর নেতৃত্বে কোরবানির মাংস বিতরণ করা হয়েছে। বর্জ পরিস্কারের জন্য প্রতিটা ক্যাম্পেই বর্জ ব্যবস্থাপনার জন্য রোহিঙ্গাদেরই দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে।তারা বর্জ মাটি চাপা দিয়েছে। উল্লেখ্য, কক্সবাজারে ১১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য দেড় হাজার ক্যাম্প রয়েছে।
মায়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমরা প্রায় এক বছর আগে আগস্টের ২২ তারিখে বাংলাদেশে প্রবেশ শুরু করে।মায়ানমার সরকার মান্ডু ও আকিয়াব এরাকায় রোহিঙ্গাদের উপর সেনা অভিযান চালায়। প্রাণ বাঁচাতে সেখান থেকে পালান তারা । কক্সবাজার জেলার প্রশাসক জানান,রোহিঙ্গারা ঈদের জমাত পালনকরেন স্থানীয় কয়েকটি মসজিদের মাঠে।
গতকাল একদিকে যখন বড়রা ঈদ পালনে ব্যস্ত, তখন নতুন জামাকাপড় পরে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা নিজেদের মধ্যে খেলায় মত্ত। একবছর আগে, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ঈদের একদিন আগে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে সেনা অভিযান চালায় মায়ানমার সেনাবাহিনী। ঈদের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রোহিঙ্গাদের পালাতে হয় প্রাণ হাতে করে। মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসার পর বহু উদ্বাস্তু এদিন প্রথমবার ঈদ পালন করেন। ১৬ বছর বয়সি উদ্বাস্তু করিম বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবছর অনেক ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারলাম। সমস্ত আত্মীয়রা একসঙ্গে থাকায় খুব ভালো সময় কাটাতে পারলাম আমরা।’ আমাদের ানেক আত্মিয় বিদেশ থেকেও এসেছে তারাও আমাদের সঙ্গে ঈদ করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :