মতিনুজ্জামান মিটু : অপসারনের পরামর্শে সাড়া মেলেনি। অনেক বেশি বয়স্ক, কম প্রয়োজনীয় ফল ও বনজ গাছে ভরে আছে দেশের বিভিন্ন হর্টিকালচার সেন্টার। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট (হর্টিকালচার) এম এনামুল হক জানান, বিভিন্ন হর্টিকালচার সেন্টার পরিদর্শন কালে সেখানে এসব গাছ অহরহ দেখা যায়।
রাজধানীর আসাদগেট এর মতো ছোট নার্সারীতেও অপ্রচলিত অতি বয়স্ক ফল ও বনজ গাছ অনেক রয়েছে। অথচ ‘হাই প্রোমেজিং’ উন্নত জাতের গাছ লাগাতে বললে সেন্টারে স্পেস নেই এমন কথা শুনতে হয়। এ চিত্র দেশের সব সেন্টারেই কম বেশি বিরাজমান। তিনি বলেন, দেশের হর্টিকালচার সেন্টারগুলো থেকে এসব গাছ অপসারন করা দরকার। এসব অপ্রয়োজনীয় গাছ অপসারণের জন্য পরামর্শ দেয়ার পরেও তাতে সাড়া মেলেনি। কল্যাণপুরের হর্টিকালচার সেন্টারে ২০০ থেকে ৩০০ বছরের অনেক অপ্রয়োজনীয় পুরানো ফজলি আম গাছ রয়েছে। অথচ এসব জাতের আম গাছের বর্তমানে কোন চাহিদা নেই বললে চলে। বারবার তাগিদ দিয়েও ওইসব গাছ অপসারন করানো যায়নি। এ বিষয়ে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। পুরাতন অপ্রয়োজনীয় গাছপালা অপসারণ করে সেখানে আধুনিক উন্নত জাতের ফল গাছ লাগানোর সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :