তানভীর আলম খান: মিয়ানমার-রাশিয়া আন্তর্জাতিক সর্ম্পকের প্রধান উপাদান হলো সামরিক কৌশলগত সহায়তা বলেছেন, রাশিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু। ২০ আগস্ট রাশিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু মিয়ানমারের সেনা বাহিনীর কমান্ডার ইন চীফ মিন অং হ্লাইং এর সাথে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক সামরিক কৌশল ফোরাম ২০১৮ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় রাশিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু ও মিয়ানমার সেনা প্রধান মিন অং হ্লাইং মিলিত হন ।
রাশিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন মিয়ানমার হলো রাশিয়ার কৌশলগত অংশীদার দক্ষিণ এশিয়ায় এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে। তারা বিশদভাবে মতবিনিময় করেন দ্বিপাক্ষিক সামরিক কৌশলগত সহায়তা এবং সামরিক অগ্রাধিকার বিষয় সমূহে । রাশিয়ান প্রতিরক্ষা দপ্তর মনে করে, রাশিয়া- মিয়ানমার সামরিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হতে পারে । মিন অং হ্লাইং মতবিনিময়কালে বলেন, আগের বছরগুলোর চেয়ে বর্তমানে অনেক বেশী সামরিক ও সামরিক কৌশলগত সহায়তা রাশিয়া ও মিয়ানমার মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট।
মিয়ানমার সেনা প্রধান মিন অং হ্লাইং এর সফরসঙ্গী হিসাবে মেজর জেনারেল মোই মাইন্ট টুন এবং মেজর জেনারেল সোই উইন ছিলেন বলে, জানিয়েছে মিয়ানমারের গণ মাধ্যম ইলেভেন। মিয়ানমারের গণমাধ্যম ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার জানিয়েছে এ বছরেই রাশিয়া নিকট হতে ৬টি এসইউ-৩০ যুদ্ধ বিমান ক্রয় করেছিল মিয়ানমার। রাশিয়ান সংবাদ মাধ্যম তাশ সূত্র হতে জানা যায়, ৬০০ মিয়ানমার সেনা সদস্য কে রাশিয়ান বিভিন্ন সামরিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে পাঠদান করছে রাশিয়ান ফেডারেশন। এ বছরের জানুয়ারীতেই রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই সোইগু মিয়ানমার সফর করেছিলেন ।
আপনার মতামত লিখুন :