শিরোনাম

প্রকাশিত : ২২ আগস্ট, ২০১৮, ০৪:২৯ সকাল
আপডেট : ২২ আগস্ট, ২০১৮, ০৪:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোরবানিতে শৃঙ্খলা আসবে কবে?

ডেস্ক রিপোর্ট  : মুসলিমপ্রধান দেশগুলো ছাড়াও বিশ্বের নানা প্রান্তে পালিত হয় ঈদুল আজহা। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ঈদের নামাজ ও পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে পালন করেন এই ধর্মীয় উৎসব।

বিশ্বের নানা প্রান্তের কোটি কোটি মুসলিম ধর্মাবলম্বী কোরবানির ঈদ উদযাপন করলেও দেশভেদে কোরবানির পদ্ধতিতে ভিন্নতা দেখা যায়। কোনো দেশে মসজিদে পশু কোরবানি হয়, কোনো দেশে আবার নির্ধারিত কসাইখানাতে করা হয় কোরবানি।

সৌদি আরবে ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকে (আইডিবি) পশুর নির্ধারিত মূল্য জমা দিয়ে তাদের মাধ্যমেই কোরবানি দেওয়া হয়। হাজিদের একটি অংশ আবার নিজেরাই পশু কোরবানি করে থাকেন। তবে পশু জবাইয়ের নির্ধারিত স্থান ছাড়া যেখানে সেখানে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম নেই দেশটিতে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও নিয়ম-শৃংখলার সঙ্গে নির্ধারিত স্থানে করা হয় কোরবানি। ইন্দোনেশিয়া, মালয়শিয়াসহ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে নির্ধারিত কসাইখানা, মসজিদ বা নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

পশ্চিমা দেশগুলোতেও নিয়মতান্ত্রিকভাবে কোরবানি দেওয়া হয়। অধিকাংশ দেশেই কোরবানির আগে ব্যাংকে পশুর মূল্য জমা নেওয়া হয়। এরপর নির্ধারিত দিনে কোরবানিদাতার বাড়িতে মাংস পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বিশ্বের নানা প্রান্তের কোরবানির পদ্ধতিতে ভিন্নতা থাকলেও প্রায় সব দেশেই পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে নিয়ম-শৃঙ্খলা অনুসরণ করা হয়। কোনো দেশেই যত্রতত্র কোরবানি দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশই শুধু ব্যতিক্রম।

দেশের প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই যেখানে সেখানে পশু জবাই করা হয়। এর ফলে পশুর বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ দূষণ তো হয়ই, একই সঙ্গে ভীতিকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয় শিশুরাও।

২০১৫ সালে আনিসুল হক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়ে পশু কোরবানি নিয়ে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁর নেওয়া উদ্যোগের মধ্যে ছিল নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি, পশু জবাইয়ের জন্য এলাকাভিত্তিক স্থান নির্ধারণ, পশুর ভুড়িসহ অন্যান্য বর্জ্য নির্দিষ্ট ব্যাগে রাখতে ফ্রি হলুদ রঙের ব্যাগ সরবরাহ, কোরবানিকৃত স্থানে পর্যাপ্ত পানিসহ পশু কোরবানির অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে কোরবানির নিয়মের প্রচারণা। এছাড়া কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণ ও পরিবেশগত বিপর্যয় ঠেকাতেও উদ্যোগ গ্রহণ করেন মেয়র আনিসুল হক।

মেয়র আনিসুল হক এখন আর নেই, নেই তাঁর উদ্যোগ। পশু কোরবানির নিয়মের প্রচারণাও আর দেখা যাচ্ছে না।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কিছু উদ্যোগ অবশ্য নেওয়া হয়েছে। কোরবানির বর্জ্য দ্রুত পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজধানীতে ৫ হাজার ২০০ পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া আরও কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট স্থানে পশুর হাট বসার কথা থাকলেও যেখানে-সেখানে পশুর হাট বসতে দেখা গেছে। অনেকেই মনে করছেন, সঠিক প্রচারণার না থাকায় এইসব উদ্যোগ বিক্ষিপ্ত রূপ নিয়েছে। সব মিলিয়ে নাগরিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, কোরবানিতে শৃঙ্খলা আসবে কবে? সূত্র- বাংলা ইনসাইডার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়