ডেস্ক রিপোর্ট : অনেকেই অনেককে বলে থাকেন ‘তোমোকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। এত এত সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারোনি। ’ আমাদের শোবিজ অঙ্গনের অনেককে নিয়ে এমন কিছু বলা হয়। যথেষ্ঠ সুযোগ সুবিধা পেয়েও পারেননি কাজে লাগাতে। পারেননি সাধারণ থেকে অসাধারণ তারকা বনে যেতে।
সেদিন এক টিভি শোতে উপস্থিত হয়েছিলেন এ প্রজন্মের দুই শিল্পী। সিয়াম আহমেদ ও তাসকিন আহমেদ। দুজনার কাছেই নায়ক ও শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে নিয়ে প্রশ্ন ছিল। একজন বলেছেন তাকে চিনিই না। আরেকজন বলেছেন তিনি নেতা হিসেবে ভালো। জায়েদ খানের সিনেমা ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল জনপ্রিয় নায়িক শাবনুরের বিপরীতে। সেটাও ২০০৮ সালে। ১০ বছরের ক্যারিয়ারে ২৫টির বেশি সিনেমা করেছেন। কিন্তু কি হলো? এরপর সুযোগ কম আসেনি। কখনোই ইন্ডাস্ট্রিতে নায়ক নিজেকে প্রথম সারির তৈরী করতে পারেননি। নিজের প্রযোজনাতেও চেষ্টা করেছিলেন। ফলাফল আগের চেয়ে খুব ভালো একটা কিছু হয়নি।
আনিসুর রহমান মিলনের দশাও অনেকটা একই রকম। নাটকে প্রশংসা পেয়ে ছুটলেন সিনেমার তরে। সেখানে বরাবরই ফ্লপের তালিকায় ছিলেন এ অভিনেতা। পারেননি একক আধিপত্য দেখাতে। বারবার অভিমান করে তিনি সিনেমা থেকে বিদায় নেন। ফের ফিরে আসেন নতুন আশায়। তবে তার ক্যারিয়ার সিনেমায় অনেকটা অনিশ্চত বলা চলে। ২০০৫ সালে সিনেমায় পাশ্ব চরিত্র দিয়ে অভিষেক। ২০১৩ সালে ‘দেহরক্ষী’র মাধ্যমে বাণিজ্যিক সিনেমায় আসা। এরপর আরও কিছু সিনেমা করেছেন। কিন্তু মিলনের দাড়ায়নি সলো ক্যারিয়ার।
নীরব ও ইমন দুজনে ভালো বন্ধু। তাই হয়তো সিনেমার ক্যারিয়ারটাও সেভাবে চালাচ্ছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে এরাও সুযোগ কম পাননি। জনপ্রিয় মডেল থেকে নাটকে অভিনয় করেছেন। সেখান থেকে সিনেমায়। এই আছি এই নেই করেও কম ছবি করা হয়নি। কিন্তু সাফল্য নেই বললেই চলে। ইন্ডাস্ট্রি ভেবেছিল শাকিবের বিকল্প তৈরী হয়েছে। কিন্তু আজ্যবধি বক্স অফিস সাফল্য মেলেনি।
সাফল্য ধরা দেয়া বিদ্যা সিনহা মিম কিংবা পরীমনিদেরও। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি সুযোগ পেয়েছে বিদ্যা সিনহা মিম। সবাই বলে কি নেই মিমের। একজন পরিপূর্ণ নায়িকা হওয়ার সকল গুনই বিদ্যামান মিমের মধ্যে। লাক্স চাম্পিয়ন , ছোটপর্দা কিংবা মডেলিং সবখানেই দ্যুতি ছড়িয়েছেন। কিন্তু সিনেমার সাফল্য অধরা। সিনেমায় চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। শাকিব খান, প্রসেনজিৎ, জিত- দু বাংলার সুপারস্টারদের সঙ্গেই কাজ করেছেন। বিশেষ কোন প্রশংসা পাননি সিনেমায়। পরীমনির চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে। একের পর এক সিনেমা সাইন করছেন। একের পর এক সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। কিন্তু পরীমনিকে প্রথম সারির নায়িকা বলার মতো কোন উপলক্ষ এখন পর্যন্ত হয়নি। ‘মনপুরা’ খ্যাত গিয়াস উদ্দীন সেলিমের সঙ্গে ‘স্বপ্নজাল’ সিনেমাও দিতে পারেনি কাঙ্খিত সাফল্য।
ববি –নুসরাত ফারিয়া-বুবলীও যেন একই পথে হাটছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে ওপেন সিক্রেট, পরিচালক ইফতেখার চৌধুরির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ববির। তারই বদৌলতে একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করছেন। এই আছি এই নেই করেও তো কম হল না। কিন্তু সাফল্যের কোঠা শূন্য। এতদিন ক্যারিয়ার ধরে যা রেখেছে তা ঐ ইফতেখার চৌধুরির জন্য। নুসরাত ফারিয়া জাজের ঘরে একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করলেন। বেশিরভাগ সময় সমলোচিতই হয়েছেন। সুপারস্টার জিতকে নিয়ে হয়েছেন ফ্লপ। এবার শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন ‘শাহেনশাহ’ নামের সিনেমায়। দেখা যাক, জাজের ঘর থেকে বের হয়ে কপাল কতটা প্রসন্ন হয়। শাকিবের হাত ধরে বুবলীর ক্যারিয়ার শুরু। সে হাত ধরেই চলছেন এখনো। হাত ছাড়লে পিছলে পড়ার সম্ভাবনা প্রকট। এমনটাই মনে করছেন অনেকে। দেখা যাক, অপু বিশ্বাসের মত ঢালিউড কুইন হতে পারেন কিনা। বাংলাইনসাইডার
আপনার মতামত লিখুন :