শিরোনাম
◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের

প্রকাশিত : ২২ আগস্ট, ২০১৮, ০২:৩২ রাত
আপডেট : ২২ আগস্ট, ২০১৮, ০২:৩২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মজুতক্রিত গ্যাস ফুরিয়ে গেলে আমদানি করা এলএনজি-ই কি হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যত?

সাজিয়া আক্তার : এলএনজি মূলত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস। দেশে যে হারে গ্যাসের রিজার্ভ কমছে তাতে ২০২০ বা ২০২১ সাল থেকে দ্রুত কমে যাবে। আর ২০৩০ সাল নাগাদ একেবারেই ফুরিয়ে যাবে যদি না নতুন গ্যাস রিজার্ভ খুঁজে পাওয়া যায় বলে মত বিশেজ্ঞদের।

দেশে বড় বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সার কারখানা থেকে শুরু করে ছোট-বড় শিল্প এমনকি গৃহস্থালী পর্যন্ত গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল, সেখানে ভবিষ্যতের এই সংকটের চেহারাটা কী হবে, তার ইঙ্গিত বাংলাদেশিরা ইতোমধ্যেই পেতে শুরু করেছে।

গত ১৮ই আগষ্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথমবারের মতো সেদিন গ্যাস গ্রিড লাইনে যুক্ত হয়েছে আমদানি করা এলএনজি বা 'লিকুইডিফায়েড ন্যাচারাল গ্যাস। বিশাল এই জাহাজ-কাম-টার্মিনালটি কাতার থেকে নিয়ে এসেছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি। সেই তরল জ্বালানিকে আবার গ্যাসে রূপান্তরিত করে এটি ৯০ কিলোমিটার পাইপ লাইন দিয়ে তা পাঠাচ্ছে চট্টগ্রামে। সেখান থেকে এটি যুক্ত হচ্ছে চট্টগ্রামের 'রিং মেইনে' বা প্রধান গ্যাস পাইপ লাইনে। কিছুদিন পরে কর্ণফুলীর নীচ দিয়ে এই গ্যাস যুক্ত হবে জাতীয় গ্যাস গ্রিডে।

এই ভাসমান টার্মিনালটি মহেশখালিতে এসে পৌঁছায় গত এপ্রিলে। এটি চালু হওয়ার কথা ছিল গত মে মাসে। কিন্তু নানা কারিগরি অসুবিধার কারণে বার বার কাজ শুরুর তারিখ পিছিয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত ১৮ই আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে এটি চালু করা গেছে।

জ্বালানির জন্য গ্যাসের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা প্রায় ৭০ শতাংশ। এখন থেকে বাংলাদেশকে গ্যাসের চাহিদা মেটাতে আরও বেশি করে এই এলএনজির ওপরই নির্ভর করতে হবে ।

বাংলাদেশে এখন প্রতিদিন এক হাজার মিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাসের ঘাটতি আছে। সামনে এটা আরও বাড়বে। সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে ২০২৫ সাল নাগাদ সাড়ে তিন হাজার মিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাসের চাহিদা এলএনজি আমদানির মাধ্যমে মেটানো।

বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি বিদ্যুতের চাহিদাও দ্রুত বাড়ছে
সেই লক্ষ্যে প্রথম যে 'ফ্লোটিং স্টোরেজ এন্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট' মহেশখালিতে চালু হয়েছে সেটির ক্ষমতা ৫শ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। সেখানেই বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের সামিট গ্রুপের উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে একই ধরণের আরেকটি টার্মিনাল। সামিট গ্রুপের টার্মিনালটি চালু হওয়ার কথা ২০১৯ সালে।

সব মিলিয়ে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমদানি করা এলএনজি হতে চলেছে বাংলাদেশে গ্যাসের অন্যতম উৎস।
কিন্তু আমদানি করা এলএনজি দিয়ে কি বাংলাদেশের মতো একটি দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটানো সম্ভব?

নতুন গ্যাস অনুসন্ধান করে পাওয়া যাবে কি যাবে না, সেটা তো নিশ্চিত নয়। আর আমাদের চাহিদা বাড়ছে দিনে দিনে। কাজেই ভবিষ্যতে আরও বেশি করে এলএনজি আনতে হবে বলেই আমার মনে হয়।

খন্দকার আবদুস সালেক বলেন, বাংলাদেশে গ্যাসের যে তীব্র সংকট, সেখানে এলএনজি টার্মিনালগুলো ঘাটতি পূরণে অনেক সহায়ক হবে।

চট্টগ্রামেই প্রায় পাঁচশো মিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস দরকার। সেখানে ঘাটতিই ছিল প্রায় তিনশো মিলিয়ন কিউবিক ফুট। আগামী কয়েক মাসেই এই ঘাটতির বেশিরভাগ পূরণ করা যাবে এলএনজি থেকে আসা সরবরাহ দিয়ে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়