শিরোনাম
◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত : ২২ আগস্ট, ২০১৮, ১২:২০ দুপুর
আপডেট : ২২ আগস্ট, ২০১৮, ১২:২০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেষ যাত্রার আগে আগারগাঁও এর প্রবীন নিবাসই হয়েছে তার আশ্রয়স্থল

মতিনুজ্জামান মিটু : অংকের হিসেব মেলেনি, আপন হাতে ফলানো সোনার ফসলে ভরা নৌকায় ঠাঁই হয়নি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল আউয়ালের। তাই শেষ যাত্রার আগে আগারগাঁও এর প্রবীন নিবাসই হয়েছে তার আশ্রয়স্থল। স্বদেশপ্রেম গ্রুপের শফিক ইসলামের বরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা খন্দকার আবু হোসেনের দেয়া এক পোস্টিং থেকে কথিত সভ্যতার করুণ এ কাহিনী জানা গেছে। দীর্ঘ ১৭ বছর সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পর ২০০৬ সালে কর্মময় জীবনের অবসান টানেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রবীন এই শিক্ষক(৭০)। অধ্যাপক আব্দুল আউয়ালের সংসারে দুই ছেলে, এক মেয়ে। তিন সন্তানের মধ্যে সবার বড় মেয়ে রেজিনা ইয়াসিন আমেরিকা প্রবাসী। বড় ছেলে উইং কমান্ডার (অব.) ইফতেখার হাসান। ছোট ছেলে রাকিব ইফতেখার হাসান থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়।

আব্দুল আউয়াল শিক্ষকতার আগে ১৯৬৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এটমিক এনার্জিতে চাকরি করেন। জীবনে অনেক টাকা পয়সা উপার্জনও হয় তাতে। ২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেন তিনি। এর পর ছেলে-মেয়েরা তার খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়।

অবসরের পর কিছুদিন ভালোই চলছিল তার। কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেটে নিজের ফ্ল্যাট ছিল আব্দুল আউয়ালের। এছাড়া পল্লবীতেও বেশ কিছু জমি ছিল তার। কিন্তু এসব বড় ছেলে কৌশলে বিক্রি করে টাকা পয়সা নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করে নেন।

কান্না জড়িত কন্ঠে প্রবীন এই শিক্ষক প্রশ্ন করে বলেন, ওরা আমাকে এতো কষ্ট দেয় কেন। আমাকে নিয়ে এতো ছলচাতুরি করে কেন? বলতে বলতে ডুকরে কেঁদে উঠেন অধ্যাপক। তিনি বলেন, আমি কি এই জন্য এতো কষ্ট করে ওদের মানুষ করেছিলাম?

অধ্যাপক আউয়াল বলেন, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর কিছু দিন বড় ছেলের সঙ্গেই থাকতাম। ছেলের সংসারে থাকার সময় জানতে পারি ছেলে ও বউয়ের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। একদিন বাসায় থাকা অবস্থায় বউয়ের মুখে গালি শুনে বাসা থেকে নেমে আসি। আর ফিরে যাইনি। ওরাও কেউ খোঁজ নেয়নি। ছোট ছেলে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে আসে ২০১৪ সালে। এসে মিরপুর-১ নম্বরে একটি দোকানে আমার সঙ্গে দেখা করে কথা বলে। সেখানে গেলে আমাকে জানায় তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। আমি ওর বাবা অথচ আমাকে জানালও না যে বিয়ে করতে যাচ্ছে। বিয়ে করে আবার চলে যাবে, একথা শুনে ছেলের বউকে দেখতে চান তিনি। কিন্তু তার সঙ্গে দেখা করা যাবে না বলে জানায় তার ছেলে।

এ অধ্যাপক আফসোসের সুরে বলছিলেন, অথচ এই ছেলের পড়ালেখার জন্যও পেনশনের টাকা থেকে ২৬ লাখ পাঠিয়েছি। সেই ছেলেও আমাকে কোনো দিন ফোন করে না। মাঝে মাঝে ইমেইলে চিঠি লেখে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়