ডেস্ক রিপোর্ট : মুন্সীগঞ্জে চা-রুটি খেয়ে ১৩ গরু ব্যবসায়ী অজ্ঞান হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মুন্সীগঞ্জ মুক্তারপুরে বিসিক গরুর হাটের পাশে চায়ের দোকানে সোমবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে তাঁরা চা ও রুটি খেতে যান। খাওয়ার পর ব্যবসায়ীরা একে একে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
অজ্ঞান হওয়া গরু ব্যবসায়ীরা সবাই মানিকগঞ্জ থেকে গরু বিক্রির জন্য মুন্সীগঞ্জ সদরে মুক্তারপুর বিসিক হাটে যান।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মুহাম্মদ মুরাদ হোসেন জানান, ১৩ রোগীর মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। বাকিদের তেমন গুরুতর নয়। প্রাথমিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে কিছু খাওয়ানো হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, রাত ২টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। ১৩ জন মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিংসাধীন রয়েছেন। চা দোকানদারকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার বালুর মাঠ গরুর হাটে সাত গরু বিক্রেতা রাতের খাবার খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়েছেন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অচেতন গরু বিক্রেতারা হলেন আলমাস (৪০), রাজীব (১৬), আলিম (১৬), আমির উদ্দিন (৬০), মিজান (৩২), ফরহাদ (১৫) ও সাহেব আলী (৬০)।
চিকিৎসার জন্য সাতজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন তাঁদের কয়েকজন সহকর্মী। তাঁদের একজন মনির হোসেন। তিনি জানান, সবার বাড়ি ফরিদপুর কোতোয়ালি নতুন ভাঙ্গা গ্রামে। সেখান থেকেই তাঁরা কয়েকটি গরু নিয়ে বালুর মাঠ হাটে যান।
মনির জানান, তাঁরা নিজ উদ্যোগে হাটে রান্নাবান্না করে খাওয়াদাওয়া করেন রাতে। খাওয়ার পর পরই সাতজন গরু বিক্রেতা অচেতন হয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মনির হোসেন আরো জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওই রান্না করা খাবারের মধ্যে হাটে থাকা অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা চেতনানাশক মিশিয়ে তাঁদের অচেতন করে ফেলে। তবে এ ঘটনায় কোনো টাকা-পয়সা খোয়া যায়নি।
ঢাকা মেডিকেলের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বাবুল মিয়া জানান, চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ী সবাইকে জরুরি বিভাগে নিয়ে পেট পরিষ্কার করা হয়। বর্তমানে তাঁরা মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। সূত্র : এনটিভি অনলাইন
আপনার মতামত লিখুন :