ডেস্ক রিপোর্ট: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রোববার(২১আগস্ট) বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় বাসভবনে থাকবেন না, বরং মিলিটারি সেক্রেটারির বাসভবনে থাকবেন। আর প্রধানমন্ত্রী বাসভবনের ৫২৪ গৃহকর্মীর মাত্র ২ জন রাখবেন।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার শুরু থেকেই মিতব্যয়ের ঘোষণা দিয়ে আসছেন। প্রথমে তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিলাসবহুল বাংলোর পরিবর্তে বানিগালায় তার নিজের বাড়িতে থাকবেন।
মিলিটারি সেক্রেটারির বাসভবনে থাকার ঘোষণা দিয়ে ইমরান বলেন, ‘নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বলছে সেখানে থাকলে আমার জীবন হুমকির মধ্যে পড়বে। একারণে আমি এখানে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তার মতে, রাষ্ট্রীয় ভবন ও অবকাশযাপন কেন্দ্রকে ভাড়া দেয়া হলে তা থেকে দেশের ভালো আয় হবে।
ইমরান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ৫২৪ গৃহকর্মী এবং ৮০টি গাড়ি রয়েছে।
‘প্রধানমন্ত্রীর ৩৩টি বুলেটপ্রুফ গাড়ি রয়েছে। উড়ার জন্য আমাদের রয়েছে হেলিকপ্টার এবং বিমান। আমাদের গভর্নর হাউজগুলো বিশাল এবং সম্ভাব্য সব বিলাসের ব্যবস্থা রয়েছে’ বলে জানান তিনি।
ইমরান খান বলেন ‘একদিকে আমাদের জনগণের জন্য খরচ করার মতো টাকা নেই, অন্যদিকে আমাদেরই একদল মানুষ উপনিবেশিক আমলের প্রভুদের মতো জীবন যাপন করছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কিভাবে থাকি দেখুন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীরা বিদেশ সফরের জন্য কত টাকা খরচ করে জানেন? এরা ৬৫ কোটি ডলার কোথায় খরচ করেছেন? স্পিকারের জন্য বরাদ্দকৃত ১৬ কোটি ডলার তিনি কোথায় খরচ করেছেন? তারা কি বিদেশের মাটিতে যুদ্ধ জেতেন?’
নিজের এবং দেশের খরচ তিনি কিভাবে কমাবেন তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইমরান বলেন, ‘আমি ৫২৪ জনের মধ্য থেকে আমার জন্য দু’জন গৃহকর্মী রাখব। একটা তিন বেডরুমের বাড়িতে থাকব। আমাকে দু’টি গাড়ি রাখতে হবে। কারণ, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, আমার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। আমি চাইছিলাম বানিগালা ছেড়ে না যেতে, কিন্তু এখন বাধ্য হচ্ছি।’
তিনি জানান, তার সরকার বাকি সব বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিলামে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দেবে। গভর্নর হাউজগুলো যথাসম্ভব ছিমছামভাবে রাখা হবে বলেও জানান ক্রিকেটার থেকে প্রধানমন্ত্রী বনে যাওয়া ইমরান।সূত্র: পরিবর্তন
আপনার মতামত লিখুন :