মাহবুবুল ইসলাম: গ্রামের মানুষ সারা বছর পশু পালন করে কোরবানি ঈদে বিক্রি করে। এটা তাদের ভালো একটি আয়ের উৎস। তবে এর জন্য বড় বাজেট থাকতে হয়। সবাই চাইলেও আর্থিক সংকটের জন্য করতে পারে না। এতে কমার্শিয়াল বাংকগুলোর উচিত পশু পালনে কম সুদে ঋণ ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা। গ্রামীণ অর্থনীতিতে কোরবানির ঈদের প্রভাব নিয়ে আলাপকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ আমাদের অর্থনীতিকে এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলে।
তিনি বলেন, গ্রামের মানুষ কোরবানির ঈদে পশু বিক্রি করে তার একটি ইতিবাচক দিক আছে। গবাদি পশু পুষ্টির জোগান দেয় সেই হিসেবে আমাদের দেশে এমনিতেও গবাদি পশু পালনের প্রতি একটু জোর দেওয়া হয়। সম্প্রতি আমাদের দেশে আয় বর্ধনমূলক কার্যক্রম হিসেবে পশু পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এদিক দিয়ে অনেকটাই সফল। যারা গরু বিক্রির জন্য শহরে আসেন তারা বিভিন্ন সিন্ডিকেটের শিকার হন। ইজারাদার সিন্ডিকেট এবং রাস্তায় বিভিন্ন মহলের চাঁদাবাজির শিকার হতে হয়। এগুলো যদি বন্ধ করা যায় তবে তাদের আয়ের ক্ষেত্রটা আরেকটু সহজতর হবে। এছাড়াও কোন পশু যদি হটাৎ করে মারা যায় তবে তাদের পুজি নষ্ট হয়ে যায়, তাই তাদের জন্য সহায়তা দরকার।
ড. সালেহ উদ্দিন আরও বলেন, ভারত থেকে আমাদের দেশে গরু আসে। এমন পরিমান গরু আনা উচিত নয় যার কারণে আমাদের দেশের গ্রামের পশুপালনকারীদের উপর কোন প্রভাব পরে। ভারত থেকে গরু বেশি আমদানি হলে আমাদের দেশিয় পশুর মুল্যায়ন কমে যায়। বৈধ কিংবা অবৈধ যে ভাবেই হোক যে সকল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভারত থেকে গরু আমদানি করে সেদিকটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এছাড়াও অনলাইনে গরু বিক্রি শুরু হয়েছে। তারা খামাখা কমিশন নিচ্ছে। এগুলো নিয়ন্ত্রন করা দরকার।
আপনার মতামত লিখুন :