ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের ইসলামপুর থেকে বারবাড়িয়া প্রায় ১৫ কিলোমিটার পযর্ন্ত যানবাহন চলছে ধীর গতিতে। মাঝে মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। এতে ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে ট্রাকে ভর্তি গরু ব্যবসায়ীদের।
সোমবার (২০ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের দু’পাশের যানবাহন চলছে রিক্সার চেয়ে ধীর গতিতে।
বাংলানিউজের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট শামীম খান সাভার থেকে জানিয়েছেন, রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে বিকেল থেকেই তীব্র যানজট। এ অবস্থায় বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে তিনি গাবতলী পৌঁছান। এরপর সেখান থেকে ফরিদপুরে তার গ্রামের বাড়ির বাসে করে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ সাভার পর্যন্ত পৌঁছুতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, এতোক্ষণ এক ঘণ্টা পরপর একটু করে গাড়ি চলছিলো। এখন এক মিনিট যাচ্ছে আবার থেমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় যাত্রীদের ভোগান্তির কোনো সীমা নেই।
সাভার, আশুলিয়া ধামরাই এলাকার অধিকাংশ গার্মেন্টস দুপুর থেকে ছুটি হয়ে যাওয়ায় যানবাহনে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। আর পশুবাহী গাড়ির কারণে সড়কে ধীর গতি আগে থেকে আছে।
ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ যাওয়া বাস যাত্রী আকাশ, জুয়েল, রাসেলসহ অনেকে বাংলানিউজকে জানান, গার্মেন্টস ছুটি হয়েছে দুপুরে তাই বাড়ির উদ্দেশ্য গাড়িতে উঠি। কিন্তু যেভাবে গাড়ি চলছে তার চাইতে হেঁটে যাওয়া অনেক ভাল।
পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা গরু ব্যবসায়ী মিলন জানান, গরু বিক্রি করার জন্য গাবতলী হাটে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছি এখন রাস্তায় যে যানজট মনে হয় সারা রাত রাস্তায় থাকতে হবে। এ রকম যানজট থাকলে গরমে গরু মারা যেতে পারে।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ রিজাউল হক জানান, প্রতিটি স্ট্যান্ডে আমাদের পুলিশ ফোর্স রয়েছে। কিন্তু সমস্য হলো বেশির ভাগ গার্মেন্টস কর্মীরা আজকে বাড়ি যাচ্ছে। এ কারণে মাঝে মধ্যে গাড়ি ধীর গতি যাছে। কিছু সময়ের মধ্যে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
সূত্র : বাংলা নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :