শিরোনাম
◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন

প্রকাশিত : ২১ আগস্ট, ২০১৮, ০১:৩২ রাত
আপডেট : ২১ আগস্ট, ২০১৮, ০১:৩২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বেঁচে থাকার জন্যই আমি ইয়াবা বহন করি: রোহিঙ্গা শরণার্থী

 

আসিফুজ্জামান পৃথিল: বহু বছর ধরেই ইয়াবা নামের এক মরন নেশার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের যুব সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া এই মাদকের অধিকাংশই আসে মিয়ানমার থেকে। যুগের পর যুগ ধরে এই মাদকের ট্রœ্সপোর্টার হিসেবে কাজ করছেন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

থাই ভাষায় ইয়াবা শব্দের অর্থ ‘উন্মাদ ঔষধ’। এই অতি নেশাত্বক দ্রব্য আসলে মেথামফেটামাইন এবং ক্যাফেইন এর শিশ্রন। যা সাধারণত ক্যান্ডির মতো রঙিন ট্যাবলেটের আকারে তৈরী হয়। মিয়ানমার থেকে এসে এই মাদক বাংলাদেশের প্রায় সব শহর এবং গ্রামেই ছড়িয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী শুরু থেকেই এর চোরাচালানে যুক্ত। সম্প্রতি বাংলাদেশে আশ্রয় পাওয়া শরণার্থীরা আরো বেশী মাত্রায় ইয়াবা চোরাচালানে জড়িয়েছে। এই রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত এক কোটির বেশী ইয়াবা উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

কক্সবাজারের এক জেষ্ঠ্য পুলিশ কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেন, ‘শরণার্থীর ঢল নামার শুরুর দিকে আমরা সব রোহিঙ্গা পুরুষকে ভীরের জন্য তল্লাসী করতে সক্ষম হইনি। আমরা আমাদের সীমান্তে তাদের প্রবেশ করতে দিয়েছি। এই সুযোগে তারা মাদক নিয়ে এসেছে।’

গত বছর বাংলাদেশ দেড় কোটি পিস ইয়াবা উদ্ধার করে এবং ৬৪৯ জনকে আটক করে। এদের মধ্যে ১৫ জন মিয়ানমারের নাগরিক। তবে মিয়ানমারের এসব নাগরিক যাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে তাদের অধিকাংশই থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এদের একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোহিঙ্গা কথা বলেছেন আল জাজিরার সাথে। তিনি জানিয়েছেন কুতুপালং শরনার্থী শিবির থেকে কক্সবাজারে ১০০০ পিস ইয়াবা পৌঁছে দেবার পর প্রতিবার তিনি ৫০০০ টাকা পান। তিনি বলেন, ‘আমি বেঁচে থাকতে ইয়াবা বহন করি। আমাকে আমার পরিবারের জন্যই এই কাজ করতে হয়। আমি যেহেতু অর্থনৈতিক সমস্যায় আছি আমার সৎ জীবনযাপনের সুযোগ নেই।’

২০১৬ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশে মা, ছেলে এবং মেয়ের ৩ জনের একটি পরিবার বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিলো। তারা নিজেদের সাথে কিছু কাপড় ছাড়া কিছুই আনতে পারেনি। সেই তারাও আসার সময় কয়েক হাজার ইয়াবা আনতে ভোলেনি। মিয়ানমারে খুব সস্তায় ইয়াবা পাওয়া যায়। আর বাংলাদেশে তা বিক্রি করা অতি লাভজনক। তাই প্রায় সকল রোহিঙ্গা পরিবারই এই ব্যবসা করতে আগ্রহী বলে রোহিঙ্গা পরিবারগুলোই জানিয়েছে। আল জাজিরা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়