কায়কোবাদ মিলন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী এবং ডান হাত বলে পরিচিত মাইকেল কোহেনের বিরুদ্ধে এফবিআই মামলা করতে যাচ্ছে। ব্যাংক থেকে ২ কোটি ডলার ঋণ গ্রহণে জালিয়াতি এবং কর ফাঁকি দেয়ার কারণে এই মামলা হতে পারে। নিউইয়র্ক টাইমস তাদের রিপোর্টে বলেছে, চলতি মাসেই মাইকেল কোহেনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হতে পারে। নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, কোহেনের বিরুদ্ধে ব্যাংক থেকে লোন নেয়া ও ইয়োলো ট্যাক্সি থেকে তার পারিবারিক ব্যবসায় লাভ করার অভিযোগ আনা হতে পারে।
এফবিআই নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের দুই বান্ধবীকে চুপ করিয়ে দিতে তাদের অর্থ দেয়ার অভিযোগেও তদন্ত করছে । ট্রাম্পের দুই বান্ধবীকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করাও মার্কিণ আইনে অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
এদিকে মুলার গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার সম্পৃক্ততা নিয়ে জোর তদন্ত চালাচ্ছেন। মুলার তার তদন্ত কাজে বাধাগ্রস্ত হলেও তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রচারাভিযান শুরুর আগেই তার তদন্ত শেষ করতে । মুলারও কোহেনের বিরুদ্ধে চলতি মাসে রিপোর্ট দিতে পারেন অথবা ৬ নভেম্বরের নির্বাচনের দিন পর্যন্ত বিলম্বিত করতে পারেন। কোহেন মুলার এবং এফবিআই এর তদন্তের আওতাধীন হলে এপ্রিলে তার অফিস তল্লাশি করা হয়। তল্লাশির পরই নরম হন কোহেন। তিনি তদন্ত দলকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তার এই মনোভাবের মূলে রয়েছে শাস্তি কমানোর চেষ্টা।
এদিকে জুলাই মাসে কোহেনের লিগ্যাল টিম কোহেন ও ট্রাম্পের কথোপকথনের একটি অডিও প্রকাশ করে। উক্ত অডিওতে ট্রাম্প ও কোহেনের কথোপকথনে সাবেক প্লেবয় মডেল কারেন মকডুয়ালের মুখ বন্ধ করা নিয়ে আলোচনা ছিল। সেখানে তারা দেড় লক্ষ ডলার প্রদানের প্রস্তাব দেন। কেননা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে কারেন মুখ খুললে ট্রাম্পের ভয়ানক ক্ষতি হবে। আর কারেনের অভিযোগ হল ট্রাম্পের সঙ্গে তার দৈহিক সম্পর্ক নিয়ে। নিউইয়র্ক টাইমস কারেনকে ট্রাম্প প্রদত্ত টাকা দেওয়া নিয়েও তদন্ত করছে।
আরেক নারী- ব্লু ফিল্মের নায়িকা স্ট্রমি ড্যানিয়েলসকে ট্রাম্প প্রদত্ত অর্থ নিয়েও তদন্ত করছে এএফবিআই। মুখ বন্ধের জন্য স্ট্রমিকে দেয়া এই অর্থ দেয়ার যোগসূত্রও ছিলেন কোহেন। ট্রাম্পের সঙ্গেও স্ট্রমির অবৈধ সম্পর্ক ছিল। গার্ডিয়ান
আপনার মতামত লিখুন :