মো. ইউসুফ আলী বাচ্চু: ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশুর হাটে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতারা। সবার চাওয়া একটাই তুলনা মূলক কম দামে পশু ক্রয় করা। তবে যাদের বাজেট কম তারা রয়েছে আলাদা চাপে তাই বাদ্য হয়ে ঝুঁকছে ছাগলের হাটের দিকে।
রাজধানীর বিভিন্ন অস্থায়ী হাট ঘুরে দেখা গেছে, সব হাটেই গরুর পাশাপাশি আলাদা জায়গায় ছাগল ও ভেড়া তোলা হয়েছে। যাদের বাজেট কম তারা কোরবানির জন্য ছাগল কিনছেন। আবার অনেকে গরুর পাশাপাশি কোরবানির জন্য ছাগলও কিনছেন। তাই কোরবানির ঈদে গরু-মহিষের সঙ্গে ছাগলেরও বেশ চাহিদা রয়েছে।
হাটে ছাগল কিনতে আসা জয়নাল আবেদীন জানান, বাজারে এবার গরুর দাম চড়া থাকায় ছাগল কোরবানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ আয়ের সাথে মিল মিল রেখে তো কোরবানি করতে হবে। কোরবানি তো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।
নারায়ণগঞ্জ থেকে ২০টি খাসি হাটে এসেছেন আসলাম হোসেন ব্যপারি । বিভিন্ন আকৃতির খাসিগুলোর দাম ১৫ থেকে ৫০ হাজার পর্যন্ত হাঁকাচ্ছেন তিনি। এ পর্যন্ত তিনটি খাসি বিক্রি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখনো হাট পুরোপুরি জমে উঠেনি।
এদিকে শাহজাহানপুর হাটে ছাগল কিনতে আসা সোহরাব হোসেন বলেন, কোরবানির জন্য আমার যে বাজেট তাতে গরু কেনা সম্ভব নয়। তাই দুটি ছাগল কিনলাম। হাসিল বাদে দাম পড়েছে ২৭ হাজার টাকা।
দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাগলের দাম অকেন বেশি। আমি যে দামে ছাগল কিনলাম, হিসেব করলে মাংসের কেজি ১২ থেকে ১৩শ টাকা টাকা পড়েছে। কিন্তু বাজারে খাসির মাংস বিক্রি হয় ৮০০ টাকা কেজি। দাম ছাড়ছে না ব্যাপারীরা, কী আর করা বাড়তি দামেই ছাগল কিনতে হচ্ছে।
দাম বেশি কেন জানতে চাইলে ছাগল বিক্রেতা আলমগীর জানান, সবকিছুর দাম বেড়েছে। চাল ভুসির দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। সব মিলিয়ে একটি ছাগল লালন-পালন করতে যে খরচ হয় তাতে এর চেয়ে কমে বিক্রি করলে পোষায় না।
আপনার মতামত লিখুন :