লিহান লিমা: সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর রোববার রাতে টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রথম ভাষণে সরকারের ব্যয় কমানো, দুর্নীতি প্রতিরোধ, ব্যাপক প্রশাসনিক সংস্কার ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কে বার্তা দিয়েছেন ইমরান।
গত মাসে নির্বাচনে জয়ী হয় ইমরানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই)। নির্বাচনের আগেই বিজয়ী দলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে পাকিস্তানের আর্থিক সংকটের কথা বলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ভাষণে ইমরান বিদেশিদের পাকিস্তানে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, তার সরকার বিদেশি বিনিয়োগে পর্যাপ্ত সহায়তা দেবে।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের ইতিহাসে এত বড় অর্থনৈতিক সংকট আর কখনোই আসেনি। আমরা এখন এমন একটি জাতি যাদের কোন অর্থ নেই। শিশু, দরিদ্র জনসাধারণ, কৃষক ও জনগণকে নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য কোনও অর্থ নেই। এই অবস্থায় আমাদের অন্য পথ দেখতে হবে।’ তিনি জানান, এই বিপর্যয় মোকাবেলা করতে হলে আমাদেরকে নিজেদের চিন্তাভাবনা, চলাফেরায় পরিবর্তন আনতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আমাদের হৃদয়ে সহানুভূতি ও সহনশীলতা জাগ্রত করা। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের জন্য থাকা ৮০টি গাড়ি নিলামে তোলা হবে। অফিশিয়াল ব্যবহারের জন্য মাত্র ২টি গাড়ি রাখা হবে। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কাজ করা ৫২৪ জন স্টাফের মধ্যে বেশিরভাগকেই অব্যাহতি দেয়া হবে।
এক ঘন্টার ভাষণে ইমরান খান পাকিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং সিভিল সার্ভিসের সংস্কারের কথাও বলেন তিনি। এছাড়া কিভাবে তিনি দেশের শিক্ষা, তরুণদের সহায়তা এবং স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন তাও উল্লেখ করেন। এই সময় তিনি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর আদলে কর ব্যবস্থা এবং সামাজিক উন্নয়ন ব্যবস্থা প্রবর্তনের কথা বলেন।
এছাড়াও ইমরান তার ভাষণে পাকিস্তানকে ইসলামি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে গঠন করার প্রতিশ্রুতি দেন। হযরত মুহম্মদ (স) এর মদিনা সনদের নীতি অনুসরণ করা হবে বলেও জানান তিনি। এর আগে ২৫ জুলাইয়ের সাধারণ নির্বাচনে পার্লামেন্টের ৩৪২টি আসনের মধ্যে ইমরানের দল ১৫১টি আসন লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। আল জাজিরা
আপনার মতামত লিখুন :