শিরোনাম
◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা

প্রকাশিত : ২০ আগস্ট, ২০১৮, ১১:৩৮ দুপুর
আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০১৮, ১১:৩৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দুই ইস্যুতে জনমত তৈরি করতে চায় বিএনপি

ডেস্ক রিপোর্ট : খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে রোজার পর কোরবানির ঈদও করতে হচ্ছে নেতাকর্মীদের। দলীয় চেয়ারপারসনবিহীন ঈদ নিরানন্দের হলেও নির্বাচনী আমেজ দেখা যাচ্ছে। কয়েক মাস পরে জাতীয় নির্বাচন। তাই ‘নির্বাচনী ঈদে’ সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এলাকায় যাচ্ছেন। সেখানে কাটাবেন কয়েক দিন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৮ ফেব্রুয়ারি সাজা হওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়া কারাগারে। এর পর গ্রেপ্তার এবং হামলা-মামলা মোকাবিলায় আদালতের বারান্দায় থাকতে হচ্ছে দলের নেতাকর্মীদেরও। রাজনৈতিক এই বৈরী পরিবেশে খালেদা জিয়াবিহীন ঈদে ঢাকায়ও কোনো কর্মসূচি রাখা হয়নি। সিনিয়র নেতাদের অধিকাংশ যাচ্ছেন নিজ নির্বাচনী এলাকায়। নির্বাচনের পাশাপাশি খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন বিষয়ে জনমত গঠন অন্যতম লক্ষ্য এবারের ঈদ।
গত রোজার ঈদেও কোনো কর্মসূচি রাখা হয়নি। রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় হচ্ছে না।

জানা গেছে, মাসখানেক পরে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকার দাবিতে আন্দোলনে নামবে বিএনপি। সে জন্য মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিশেষ কোনো নির্দেশনা না দিলেও গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) মিথ্যা-ভিত্তিহীন মামলায় রাজনৈতিক কারণে বন্দি। প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে যেসব কর্মসূচি তিনি নিতেন, এবার তা হচ্ছে না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের নেত্রী কারাবন্দি থাকায় আমাদের ঈদ নিরানন্দের।
জানা গেছে, দিনটিতে ম্যাডামের স্বজন ও দলের সিনিয়র নেতারা সাক্ষাৎ করতে জেল গেটে যাবেন। বিএনপি মহাসচিবসহ সিনিয়র কয়েকজন নেতাও দলীয় প্রধানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চাইবেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের মাজার ও তার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করে বিশেষ মোনাজাত করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নোয়াখালী ঈদ করবেন। ইতোমধ্যে তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, তার সঙ্গে নেতাকর্মীদের সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ঈদের দিন ও দ্বিতীয় দিন শাহজাহানপুরের নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-৩। তিনি ঈদের দিন এলাকায় থাকবেন।

এই প্রতিবেদকে তিনি বলেন, সরকারের বাধায় এ ধরনের কল্যাণমূলক কার্যক্রম করাও এখন কঠিন হয়ে গেছে। আন্দোলন ছাড়া কোনো গতি দেখি না।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রতি ঈদে তার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামে যান। কিন্তু নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলাকালে তার কথিত এক ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে সরকারের চাপে আছেন। এবার তার নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। ঈদে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লা, ড. আবদুল মঈন খান নরসিংদী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান চট্টগ্রামে, বরকতউল্লাহ বুলু ও মো. শাজাহানের নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার বরিশাল, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ঢাকায়, খায়রুল কবির খোকন নরসিংদী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ফরিদপুরে ঈদ করবেন। সাবেক ছাত্রদল ও যুবদল নেতাদের মধ্যে আবুল খায়ের ভূইয়া, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, রকিবুল ইসলাম বকুল, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, কামরুজ্জামান রতন, রেহেনা আক্তার রানু, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, আকন কুদ্দুসুর রহমান, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সাইফুল আলম নীরব, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, আবদুল আউয়াল খান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, হাসান মামুন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মোরতাজুল করীম বাদরু, ফরহাদ হোসেন আজাদ, মুনির হোসেন, ওবায়দুর রহমান চন্দন, আবদুল মতিন, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, শহীদুল্লাহ ইমরান, মামুন বিন আবদুল মান্নান, হারুণ অর রশীদ, মাহমুদুর রহমান সুমন, নাসির উদ্দিন হাজারী, জামাল কামাল নূরুদ্দিন মোল্লাসহ অর্ধশত বিএনপি নেতা নিজ নিজ এলাকায় ঈদ করবেন।

২০-দলীয় জোটের শরিক নেতারাও নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করবেন। তাদের মধ্যে এলডিপির কর্নেল (অব) অলি আহমদ, রেদোয়ান আহমেদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির গোলাম মুর্তজা, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, এম গোলাম মোস্তফা, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ডিএলের সাইফুদ্দিন মনি নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করবেন। সূত্র : আমাদের সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়