শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২০ আগস্ট, ২০১৮, ০২:৪০ রাত
আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০১৮, ০২:৪০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শহীদুল আলমের মুক্তির দাবি নোবেলজয়ীদের

 

আসিফুজ্জামান পৃথিল: ডেসমন্ড টুটু এবং তাওয়াক্কুল কারমানসহ ১১ জন নোবেল বিজয়ী সেইসঙ্গে বিশ্বের ১৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের আলোকচিত্রী ড. শহীদুল আলমের অবিলম্বে ও বিনা শর্তে মুক্তির দাবিতে একটি বিবৃতিতে সই করেছেন। এ সময় তারা বাংলাদেশের সরকারের প্রতি সকল নাগরিকের মানবাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

প্রতিবাদ জানানো ১১ নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ১০ জনই শান্তিতে পদক পেয়েছেন। এছাড়া বিশিষ্ট অপর ১৭ ব্যক্তিত্বের মধ্যে রয়েছেন নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গ্রো হারলেম ব্রান্টল্যান্ড, অভিনেত্রী ও অ্যাকটিভিস্ট শাবানা আজমি, শ্যারন স্টোন, চলচ্চিত্র পরিচালক রিচার্ড কার্টিস। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়, ড. শহীদুল আলমকে বিতর্কিত আইসিটি অ্যাক্টের আওতায় যে পুলিশি রিমান্ডে নেয়া হয়েছে এর বিরুদ্ধে আমরা যৌথভাবে আওয়াজ তুলেছি।

বিবৃতিটিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই তারা যেন বেআইনি গ্রেপ্তারের অভিযোগ তদন্ত করে দেখে এবং ডঃ শহীদুল আলমকে অবিলম্বে এবং নি:শর্তে মুক্তি দেয়।’ সম্প্রতি বাংলাদেশে বাসায় চাপায় দুই স্কুল শিক্ষার্থীর নিহতের ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে আসেন স্কুল শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যমে অনেক বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে উল্লেখ করে ওই বিবৃতিতে বলা হয় যে, তরুণ আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের উপস্থিতিতেই আক্রমণ চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন। সাংবাদিক ও ফটোগ্রাফার যারা এই বিক্ষোভের খবর প্রকাশে পেশাগত দায়িত্বে মাঠে নেমেছিলেন তাদের ওপর হামলার নিন্দা জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।

গণমাধ্যমের বরাতে বিবৃতিটিতে বলা হয়, স্কুল শিক্ষার্থীদের দাবির সমর্থনে কয়েকদিন পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এলে, তাদেরকেও বিভিন্ন মামলার অধীনে গ্রেফতার করা হয়। ৫ই অগাস্ট সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন ফটোগ্রাফার ড. শহীদুল আলমকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সেখানে শহীদুল আলমকে বাংলাদেশের জার্নালিস্টিক ফটোগ্রাফি আন্দোলনের নেতা সেইসঙ্গে একজন একাডেমিক ও মানবাধিকার কর্মী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
গত সপ্তাহে তাকে ঢাকা অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সামনে হাজির করা হয়, যেখানে গোয়েন্দা পুলিশ দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি(আইসিটি) আইনের ২০০৬ এর ৫৭ ধারার অধীন তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিবৃতিটিতে আরো বলা হয়, শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলার ছবি তুলেছেন এবং একটি আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাতকারে স্বাধীনভাবে তার মত প্রকাশ করেছেন। বিবিসি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়