শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২০ আগস্ট, ২০১৮, ০২:৩৬ রাত
আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০১৮, ০২:৩৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কেন্দ্রিয় ব্যাংককে তথ্য দানে বাণিজ্যিক ব্যাংকের অবহেলা

আদম মালেক : কেন্দ্রিয় ব্যাংক যথাসময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে তথ্য পাচ্ছে না। তথ্য দানে বাণিজ্যিক ব্যাংকের অবহেলায় যেমন সার্বিক আর্থিক চিত্র প্রাপ্তি বিলম্ব হয় তেমনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ বাধাগ্রস্থ হয়। তথ্য সংকটের কারণে অনেক আর্থিক অনিয়ম রোধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণও অনেক সময় কেন্দ্রিয় ব্যাংকের পক্ষে সম্ভব হয় না বলে জানা গেছে।

বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণ বিতরণ, বিতরণের প্রকৃতি, আদায়, অনাদায় ও ঋণ ফিরিয়ে দেয়ার কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্য কেন্দ্রিয় ব্যাংককে জানাতে হয়। এসব কার্যক্রমের তথ্য দৈনিক সাপ্তাহিক পাক্ষিক মাসিকভিত্তিতে কেন্দ্রিয় ব্যাংকে সরবরাহ করতে হয়। অনেক সময় কেন্দ্রিয় ব্যাংক প্রশাসনিক কাজে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে তড়িত তথ্য চায়। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সব সময় কেন্দ্রিয় ব্যাংকের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য সরবরাহ করতে পারে না। ফলে কেন্দ্রিয় ব্যাংকের পক্ষে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হয় না।

সঠিক সময়ে ঋণ বিতরণ না করায় সম্প্রতি একটি বাণিজ্যিক ব্যাংককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পণ্য আমদানির জন্য এলসি (ঋণপত্র) খোলা, এলসির বিপরীতে বিদেশে টাকা প্রেরণ, নির্দেশিত সময়ের মধ্যে পণ্য দেশে আসা বা না আসার প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও ব্যাংকটি বাংলাদেশ ব্যাংককে তথ্য দেয়নি। উপরন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ওই প্রতিষ্ঠানের আবারও ঋণপত্র খোলে ব্যাংকটি। রাষ্ট্রায়ত্ত ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মিলে এ ধরনের অপ্রত্যাশিত (বিল অব এন্ট্রি অভারডিউ) আমদানি বিলের পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।

মাস শুরুর সঙ্গে সঙ্গে আগের মাসের কৃষিঋণ বিতরণ পরিস্থিতি বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে ৭ থেকে ৮ তারিখের মধ্যে সমন্বিত প্রতিবেদন তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু অধিকাংশ বাণিজ্যিক ব্যাংক সময় মতো তথ্য দেয় না। বাংলাদেশ ব্যাংকও বাধ্য হয়ে ৭ থেকে ৮ তারিখের প্রতিবেদন তৈরি করে ২০ থেকে ২৫ তারিখে।

প্রতি তিন মাস অন্তর মোট ঋণ বিতরণ, খেলাপির পরিমাণ, খেলাপি আদায়সহ যাবতীয় ঋণ পরিস্থিতির চিত্রসংবলিত প্রতিবেদন দেয় বাণিজ্যিক ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক এ সম্পর্কিত তথ্যের সমন্বয় করে পঞ্চম মাসের শুরুতে প্রতিবেদন দেয়। কিন্তু বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সময় মতো প্রতিবেদন না দেওয়া ও প্রদত্ত প্রতিবেদনের অসম্পূণতার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন তৈরি করতে সময় লাগে পঞ্চম মাসের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্ভর করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা কতটা ব্যবহার করছে ও রিপোর্ট না দিলে কি ব্যবস্থা নিচ্ছে তার ওপর। তিনি বলেন, ডিফল্ট, সিএসআরের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে যদি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো অবহেলা করলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে শৈথিল্য দেখালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসাবে তা বাংলাদেশ ব্যাংকেরই ব্যর্থতা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়