সাজিয়া আক্তার : বদলে গেছে রোহিঙ্গাদের জীবন যাত্রা, মাথা গোজার ঠাই, খাবার, সেনিটেশন, চিকিৎসাসহ ন্যূনতম সব চাহিদাই অর্ধেকের বেশি রোহিঙ্গাদের হাতের নাগালে। এখন তারা ভাবছেন সন্তানদের পড়াশোনা নিয়েও। তবে সব কিছুর পরো তাদের চাওয়া আপন গৃহের অধিকার।
গত ১ বছরে রোহিঙ্গাদের জীবন যাত্রা পাল্টে গেছে অনেকটাই। থেকেছে কান্নার রোল, শুধু আশ্রয় নয়, পুরন হচ্ছে ন্যূনতম দিন যাপনের সব চাহিদাই। সরকারি-বেসরকারি সহযোগীতার কল্যানে খোলা আকাশের নিচে নেই কেউয়েই। আছে বিশুদ্ধ পানি, সেনিটেশন ও ঠিকঠাক। ত্রান পাচ্ছেন প্রয়োজনেরও বেশি। কেউ কেউ ঘরের পাশেই করছেন সবজির চাষও।
চিকিৎসাও মিলছে হাতের নাগালে, শিশুদের শিক্ষাটাও বাদ নেই, চলে খেলাধুলা শরীরচর্চাও।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোর নানা জায়গায় চলছে উন্নয় কাজ। বেসরকারি সংস্থা গুলোও এগুচ্ছে বড় পরিকল্পনা নিয়ে।
ব্র্যাক এইচসিএমপি এডুকেশন লিড খান মো. ফেরদৌস বলেন, রোহিঙ্গাদের জীবন ধারনের জন্য যে প্রয়োজন গুলো বেশি দরকার ছিল সেগুলো এখন প্রায় সব গুলো পুরন হয়েছে। এখন তারা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করছে । এতো কিছু নিয়েও নিজ গৃহে ফিরতে চায় রোহিঙ্গারা। কিন্তু অনিশ্চিয়তা কাটেনি এখনো।
রোহিঙ্গাদের বাসস্থানের চিত্র বদলে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ভাঙাচুরা ঘরের বদলে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী আশ্রয়, সাথে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে প্রত্যাবাসন।
এক এক করে নতুন ঘর উঠছে আর নতুন স্বপ্ন বুনছেন রোহিঙ্গারা। গত ১ বছর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এই জনগোষ্ঠীর জীবন মানের উন্নয়ন হয়েছে চোখে পরার মতো। অর্ধেকের ও বেশি রোহিঙ্গাদের চাহিদা পুরন হয়েছে প্রায় শতভাগ। কিন্তু তাদের সবচেয়ে বড় যে স্বপ্ন আপন ঠিকানায় ফিরে যাওয়ার সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন এখনো আটকে আছে নথিপত্রের চৌহদ্দিতে।
সূত্র : চ্যানেল ২৪ টেলিভিশন
আপনার মতামত লিখুন :