শিরোনাম
◈ তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি 

প্রকাশিত : ২০ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ দুপুর
আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এই চোখের পানি প্রয়োজন ছিল….

স্পোর্টস ডেস্ক : প্রতিপক্ষের জালে গোলের পর গোল আর ম্যাচ শেষে গাল ভর্তি হাসি। কোমলমতি মেয়েদের এই দৃশ্য দেখেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলাম। সত্য কথা বলতে বিষয়টি হয়ে উঠেছিল পানসে। কাল সেই মেয়েদের চোখেই কান্না দেখলাম। অনভ্যস্ত বিষয়টি মানতে কষ্ট হলেও এর প্রয়োজন ছিল। কারণ এক মাস পরে চোখের এই পানিই হতে পারে বড় আনন্দের উপলক্ষ।

প্রথমত, চোখের পানি কেন প্রয়োজন ছিল?
একটা সত্য প্রমাণের জন্য। ২০১৫ সালে ফিফার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বলেছিলেন, ‘বয়সভিত্তিক পর্যায়ে কোন দল যদি টানা ১২ ম্যাচ জিতে নেয়, তাহলে বুঝতে হবে দলের কোচিংয়ে গলদ আছে।’ ম্যাচ জিতলে কোচিংয়ে গলদ- খটকা লাগছে, তাই না? আসলে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বিশেষ করে অনূর্ধ্ব ১৬ পর্যন্ত জয়-পরাজয় বড় কথা নয়, শেখাটাই আসল। কারণ কোন দল যদি প্রতিটি ম্যাচ-ই জিততে চায়, সঠিক পরিকল্পনানুযায়ী শেখা সম্ভব নয়। বোঝা গেল ব্যাপারটা! বলাবাহুল্য আমরা ১১তম ম্যাচে এসে হারলাম।

 

 

দ্বিতীয়ত, চোখের পানি কেন প্রয়োজন ছিল?
কালকের ম্যাচ বাদ দিয়ে শেষ ১০ ম্যাচে মোট ৫৯ গোল করেছে এই দলটি। অথাৎ গড়ে প্রায় ছয়টি করে। মেয়েরা হয়তো ভেবেই নিয়েছিল- তারা অপরাজেয়, তাদেরকে হারানোর মতো প্রতিপক্ষ নেই। গতকাল থেকে তাদের সে ধারণাটা ভেঙে গেল। এর পরের ম্যাচ থেকে তারা অবশ্যই শিখে আসবে, গোল হজম করে কীভাবে ম্যাচে ফিরতে হয়।

তৃতীয়ত, চোখের পানি কেন প্রয়োজন ছিল?
আমরা সবাই জানি এই দলে গোল করার মতো খেলোয়াড়ের অভাব নেই। কিন্তু এই সত্য কথাটার আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছিল আরও একটি বড় সত্য। তা হলো দলটির প্লেমেকার একজনই, সে মনিকা চাকমা। ভারত শুধু কাল ডাবল টিউনিং, কখনো ট্রিপল টিউনিংয়ে মনিকাকে আটকে দিয়েছে (পড়ুন ফারাক্কা বাঁধ আটকেছে)। আর তাতেই হাঁসফাঁস করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। আর ‘বাংলাদেশ’ও আগের ন্যায় চেনা বাংলাদেশ হয়ে উঠতে পারেনি।

চতুর্থত, চোখের পানি কেন প্রয়োজন ছিল?
সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে ঢাকায় এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্ব। সেখানে ভিয়েতনামকে টপকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যদি আমরা এশিয়ার সেরা আটে আবারও জায়গা করে নিতে পারি, তা হবে কয়েকটা সাফ শিরোপা জয়ের সমান। আর এই চোখের পানিই হতে পারে আগামী মাসের এএফসি বাছাইপর্বের জ্বালানী।

কাল শিরোপা জিতলে খুবই উল্লাস করতাম সত্য । কিন্তু সব মিলিয়ে কেন যেন মনে হচ্ছে মেয়েদের চোখের পানিই সামনে বড় কোন উল্লাসের উপলক্ষ নিয়ে আসতে পারে। সাফ জিতলে শুধু এই শিরোপার পেছনেই ছুটতাম প্রতি বছর। এশিয়ান পর্যায় নিয়ে সে রকম ভাবা হতো না। ব্লগ, এগিয়ে চলো

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়